চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ডাম্প ট্রাকের পেছনে দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে পাঁচজনের প্রাণহানি হয়েছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পৌরসভার বটতলা এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিডিএম পরিবহনের চট্টগ্রামগামী বাসটি একটি মোটরসাইকেলকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়। মুহূর্তের মধ্যেই বাসটি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্প ট্রাকের পিছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের সামনের অংশ ও ছাদের একটি পাশ ছিঁড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই চারজন মারা যান। পরে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তারা হলেন—মো. শাহ আলম (৫৫), কুমিল্লার বাসিন্দা ও চট্টগ্রাম ইয়াং ওয়ান গার্মেন্টসের কর্মী।মো. কামাল (৪৫), ফেনীর ছাগলনাইয়ার বাসিন্দা ও পুলিশ সদস্য এবংমো. জসিম (৪০), কুমিল্লার হিঙ্গুলীর বাসিন্দা। বাকি দুইজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি।
দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ ইমরান জানান, সেখানে প্রায় ২৫ জনকে আনা হয়।
তিনি বলেন, “আমাদের কাছে আসার আগেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল। গুরুতর আহত ১২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।”
বাসের এক যাত্রী, যিনি সেনাবাহিনীর সদস্য, বলেন, “যাত্রা শুরুর পর থেকেই চালক গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন। আমরা অনেকবার নিষেধ করলেও তিনি গতি কমাননি।”
কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাকির রাব্বানী বলেন, “সর্বশেষ তথ্যে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে প্রায় ২০ জন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।”
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
কারওয়ান বাজার মেট্রো স্টেশনের নিচে ককটেল বিস্ফোরণ, ঘটনাস্থল নিয়ে দুই থানার ‘ঠেলাঠেলি’
রাজধানীতে বিদেশী অস্ত্রসহ ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ’ নেতা গ্রেপ্তার