টালিউডের অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বহু বছরের বন্ধুত্ব জড়িয়ে আছে অভিনেত্রী জয়া আহসানের জীবনে। পর্দায় এই জুটির রসায়নও দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। সম্প্রতি জয়া এক সাক্ষাৎকারে আবীরের প্রতি তার মুগ্ধতা নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে জানান।
জয়া বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে বহু মানুষের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ থাকলেও আবীর চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিত্ব সবদিক থেকেই আলাদা। তিনি অত্যন্ত নির্ঝঞ্ঝাট এবং ইতিবাচক দৃষ্টিকোণসম্পন্ন মানুষ।
জয়া আরও বলেন, আমাদের সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে আবীরের সঙ্গে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমার ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে কমফোর্ট জোন আবীর। কখনও দেখিনি যে সে কোনো আড্ডায় বা অন্যের সঙ্গে সমালোচনা করছে। কেউ কষ্ট পেতে পারে এমন কোনো কথা আবীরকে বলতে শুনিনি। এ কারণে তার জায়গা আমার জীবনে অনেক উপরে। সে এক প্রকার সমালোচনামুক্ত মানুষ। তবে মাঝে মাঝে কিছু টক-ঝাল গল্প হলে তাতেও সবাই আনন্দ পায়। তবে ওর মধ্যে সেই ছোটখাটো দোষ অবশ্যই আছে, কিন্তু আমরা তা খুব সহজে দেখিনা।
জয়া পুতুল নাচের ইতিকথা অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বলেন, আমরা কিছুদিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। ওরে বাবা! আবীর ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে যা হলো, সবাই শুধু ওর দিকে তাকাচ্ছিল। আমাদের কথার কোনো গুরুত্ব তখন কারোর কাছে ছিল না। সে কেমন করে ভক্তদের এত ভালোভাবে সামলে রাখে এবং সবটুকু যত্নের সঙ্গে মেনটেন করে, সেটা সত্যিই বিস্ময়কর।
তিনি আরও যোগ করেন, আসলে আবীরের কাছ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। সংসার ও কর্মজীবন একসঙ্গে পরিচালনা করা সহজ নয়। কিন্তু আবীর তার পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে সুন্দরভাবে সংসার জীবন মেনটেন করে এবং কাজের জায়গাতেও ব্যালান্স বজায় রাখে। তার মতো একজন বন্ধুকে পাওয়াটা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।
জয়া শেষ করেন, ওর অনুভূতি সবসময় সত্যি এবং মন থেকে আসে। আমি চাই, সে সারাজীবন এমনই থাকুক। আমরা যা করতে পারি না বা কখনও চেষ্টা করি না, আবীর তা অতি যত্নের সঙ্গে প্রমাণ করে দেখায়। বারবার দেখিয়েছে, কর্মজীবন ও পরিবার একসঙ্গে সামলানো সম্ভব।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
উগান্ডাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
ধানমন্ডি ৩২- এ বুলডোজার নিয়ে যাওয়া দলকে ‘রাজাকার’ বললেন শাওন
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে বুলডোজার নিয়ে যাচ্ছে বিক্ষুব্ধ জনতা