২২ বছর পর আবারও ফুটবলে ভারতের বিপক্ষে ‘ট্রায়াম্ফ’—জাতীয় স্টেডিয়ামে ইতিহাস লিখল বাংলাদেশ। ২০২৭ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতকে ১–০ গোলে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ পর আন্তর্জাতিক জয় পেল জামাল ভূঁইয়ারা।
ম্যাচের শুরুর একাদশে ফিরেই আলো ছড়ালেন চোট থেকে ফেরা শেখ মোরছালিন। মাত্র ১১ মিনিটে রাকিব হোসেনের দারুণ পাস ধরে নিখুঁত টোকায় বল জালে পাঠান তিনি। সেই এক গোলই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। জাতীয় দলের জার্সিতে এটি তার সপ্তম গোল।
গোলের পর থেকেই ভারত আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুইবার গোলের খুব কাছেও পৌঁছে যায় অতিথিরা। কিন্তু বাংলাদেশকে বাঁচান হামজা চৌধুরী।
গোলরক্ষক মিতুল মারমার ভুলে যখন ভারত সমতায় ফিরতে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই দারুণ এক হেডে বল ক্লিয়ার করেন হামজা। পুরো ম্যাচে তার ঠাণ্ডা মাথার সিদ্ধান্ত, অসংখ্য ট্যাকল এবং ক্লিয়ারেন্সই বাংলাদেশকে তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছে।
৩৪ মিনিটে তপু বর্মণ ও ভারতের বিক্রমের সংঘর্ষে মাঠে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। দুই দলের খেলোয়াড়দের হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হলে রেফারি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনে দুইজনকেই হলুদ কার্ড দেখান।
এর আগে ২৭ মিনিটে চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার তারিক কাজী। তার বদলি শাকিল আহাদ তপু পরে রক্ষণ আগলে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
৮৩ মিনিটে ভারতের এক ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ও দর্শকরা পেনাল্টির দাবি তোলে। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে সেই দাবি উপেক্ষিত হয়, স্টেডিয়াম তখন উত্তেজনায় ফেটে পড়ে।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে রেফারি ৬ মিনিট যোগ করেন। এই সময়টায় ভারত মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালালেও বাংলাদেশের রক্ষণ ছিল অটল ও সংগঠিত। শেষ বাঁশি বাজতেই পুরো স্টেডিয়াম উল্লাসে ফেটে পড়ে—২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় নিশ্চিত হয়।
২০০৩ সালের সাফ সেমিফাইনালে ভারতকে ২–১ গোলে হারানোর পর আজই প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ।
ম্যাচের নায়ক মোরছালিন হলেও মাঠে সবচেয়ে বড় পার্থক্য গড়েছেন হামজা চৌধুরী—এই জয়ের নীরব স্থপতি তিনিই।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
নারী ক্রিকেটের প্রধান হলেন রুবাবা দৌলা
তার মতো মানুষকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার: জয়া আহসান
সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগে সাধারণ বীমার দাপুটে জয় বাংলাদেশ বয়েজকে ২–০ গোলে হারিয়ে শক্তিশালী সূচনা