ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন যেন হয়ে উঠেছিল মুশফিকুর রহিমেরই মঞ্চ। টেস্ট ক্যারিয়ারের শততম ম্যাচে ব্যাট হাতে অসাধারণ ছন্দে খেলে দিন শেষে অপরাজিত থাকলেন ৯৯ রানে। সেঞ্চুরি থেকে ঠিক ১ রান দূরে থাকতেই স্টাম্প ঘোষণা করেন আম্পায়ার। ফলে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই ঐতিহাসিক কীর্তিতে পৌঁছানোর সুযোগ থাকছে এ অভিজ্ঞ ব্যাটারের সামনে।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুটা ভালোই হয়। ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয় ৫২ রানের জুটি গড়ে দেন। সাদমান ৩৫ ও জয় ৩৪ রান করে ফেরেন।
৯৫ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে বাংলাদেশের। মাত্র ৮ রান করে আউট হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর তিনে নামা মুমিনুল হককে সঙ্গে পেয়ে ইনিংস গুছিয়ে তোলেন মুশফিক। দু’জনের জুটিতে আসে ১০৭ রান। মুমিনুল ১২৮ বলে ৬৩ রানে আউট হলেও মুশফিক এগিয়ে যান সেঞ্চুরির পথে।
দিনের শেষভাগে লিটন দাসকে নিয়ে আরেক দারুণ জুটি গড়েন মুশফিক। দু’জন মিলে যোগ করেন ৯০ রান। লিটন দিন শেষে অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে।
১৮৭ বল মোকাবিলা করে ৫ চারসহ ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম। তার অপেক্ষা এখন মাত্র ১ রানের—যা তাকে টেস্ট ইতিহাসের মাত্র ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করা খেলোয়াড়দের তালিকায় স্থান করে দেবে। এর আগে রিকি পন্টিং, জো রুট, ডেভিড ওয়ার্নার, জাভেদ মিঁয়াদাদসহ আরও কয়েকজন এই কীর্তি গড়েছিলেন। বিশেষভাবে পন্টিং শততম টেস্টে করেন দুই ইনিংসে দুই সেঞ্চুরি; ওয়ার্নার হাঁকান দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি।
প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৯২ রান। আইরিশ বোলারদের মধ্যে কেবল অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনি ছিলেন সফল, একাই নেন বাংলাদেশের সব চারটি উইকেট। ২৬ ওভার বল করে তিনি দেন ৮২ রান। ম্যাথু হামফ্রিজ ও গাভিন হোয়ে উইকেটহীন থেকেছেন।
এখন সবার চোখ মুশফিকের দিকে—দ্বিতীয় দিনের প্রথম সকালেই কি আসবে সেই ঐতিহাসিক সেঞ্চুরি?
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় কারচুপির অভিযোগে ২ বিচারকের পদত্যাগ
বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
নারী ক্রিকেটের প্রধান হলেন রুবাবা দৌলা