রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো শীতকালীন সবজিতে ভরপুর হলেও ক্রেতাদের মাথায় এখনও দামই বড় চিন্তার বিষয়। বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম এখনো ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে স্থিতিশীল। ক্রেতারা বলেন, “সবজির প্রচুর পাওয়া গেলেও দাম সহনীয় হচ্ছে না। কার কারণে এমন হচ্ছে, বোঝা যাচ্ছে না।”
গত এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে, যেখানে এক মাস আগে দাম ছিল মাত্র ৬০-৭০ টাকা। সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারতসহ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি ঘোষণা করেছে। তবে এলসি খোলার প্রক্রিয়া ধীর হওয়ায় বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ তৈরি হয়নি। ক্রেতারা জানান, পেঁয়াজে বেশি অর্থ খরচ হওয়ায় অন্য সবজিতে কম কেনাকাটা করতে হচ্ছে।
সবজির বাজার: মানভেদে দাম
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় কিছু সবজির দাম কমলেও মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে সাধারণ সবজির দাম— ফুলকপি ৫০–৬০ টাকা (প্রতিপিস), বাঁধাকপি ৪০–৫০ টাকা (প্রতিপিস), বেগুন ৭০–৮০ টাকা, করলা ৮০–৯০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ: ৬০ টাকা, বরবটি: ৮০ টাকা, মুলা: ৫০ টাকা, লতি: ৮০ টাকা, পটোল: ৬০ টাকা,
শিম: ১০০–১২০ টাকা, গাজর: ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ: ১৬০–১৮০ টাকা।

বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পুঁইশাক ২০-৩০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০, কলমি শাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
লেবু প্রতি ডজন ৬০ টাকা, আলু ২০–২৫ টাকা (প্রতি কেজি), ধনে পাতা ১০০ টাকা (প্রতি কেজি), বিক্রি হচ্ছে।
মাছ ও মাংসের বাজার: তুলনামূলক স্থিতিশীল
মিরপুরের বাজারে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি ও চাষের তেলাপিয়ার দাম ২০০ টাকা (প্রতি কেজি)। সোনালি মুরগি ৩২০, সাদা লেয়ার ৩৫০ এবং দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা।
চাষের রুই ২৫০–৫০০ টাকা, নদীর বড় রুই ৮০০ টাকা। ইলিশ ১৯০০–২২০০ টাকা (প্রতি কেজি), পাবদা ৪০০, বোয়াল ৫৫০–১২০০, কাতল ৩০০–৭০০ টাকা, দেশি টেংরা ৭০০ টাকায় (প্রতি কেজি) বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা শীতের আগের তুলনায় কিছুটা বেশি।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
কুমিল্লা ইপিজেডে ভূমিকম্প আতঙ্কে অজ্ঞান ৮০ নারী শ্রমিক
ভূমিকম্পে বৈদ্যুতিক তারের ঘর্ষণে নারায়ণগঞ্জে তুলা কারখানায় আগুন
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে ১ মৃত্যু আহত ২০; ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ট্রান্সফরমারে আগুন