November 23, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, November 23rd, 2025, 7:43 pm

আওয়ামী লীগ নেতা সাইনুলকে জামিনে মুক্ত করানো নিয়ে আলোচনায় জামায়াত প্রার্থী

নীলফামারী প্রতিনিধি:‎

কুন্দপুকুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হত্যাসহ মামলার আসামী সাজ্জাদ আলম সাইনুলকে ঘিরে নীলফামারী–২ আসনের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবি, কয়েকদিন আগে তিনি বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থী সাইফুল্লা রুবেলের সঙ্গে একটি গোপন বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকের বিষয়টি এলাকায় আলোচনায় উঠে আসার পর, বিএনপির সাবেক সভাপতি আলমগীর সরকারের বাড়িতে আগুন দেওয়ার মামলায় পুলিশ সাইনুলকে গ্রেফতার করে।

‎স্থানীয় সূত্রগুলোর আরও দাবি, জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী এ্যাডভোকেট আল ফারুক আবদুল লতিফের বিশেষ উদ্যোগে সাইনুল পরে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এই ঘটনাই এলাকায় নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের আলোচনাকে আরও জোরালো করেছে।

‎২২ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার, রাত ১০ টার সময় পুলহাটে সাইনুলের নিজ বাড়িতে আয়োজিত এক ভোজসভায় জামায়াত প্রার্থী আল ফারুক আবদুল লতিফের উপস্থিতি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, “একজন আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে জামায়াত প্রার্থীর এত ঘনিষ্ঠতা কি কেবল কাকতালীয়?”

‎স্থানীয় জামায়াত সমর্থিত কুন্দপুকুর ইউপি মেম্বার প্রার্থী সাদেকুল ইসলাম সাদেক বলেন,‎ “আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর নির্যাতন সয়ে জামায়াত করে আসছি। সাইনুল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে। আমি ভোটে এগিয়ে থাকলেও ক্ষমতা ও প্রশাসনিক প্রভাব ব্যবহার করে সে জয়ী হয়।”

‎তিনি আরও দাবি করেন, সাইনুল গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিএনপি–সমর্থিত আব্দুল গনি, জসিসহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা থানায় তদবিরে যান।

‎নীলফামারী জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার বলেন,  “তিনি এখনও আওয়ামী লীগের পদে আছেন। এমন ব্যক্তিকে জামিনে সহায়তা করা বা তার বাড়িতে গিয়ে দাওয়াত খাওয়া জামায়াতের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরই ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত।”

‎গোপন বৈঠক, গ্রেপ্তার, জামিন এবং ভোজসভা— পুরো ঘটনাকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত নীলফামারী–২ আসনের রাজনীতিতে এই ঘটনাপ্রবাহ যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

‎এলাকাবাসীর মধ্যে এখন প্রশ্ন, সাইনুল কি আওয়ামী লীগ ছেড়ে নতুন রাজনৈতিক অবস্থান নিতে যাচ্ছেন, নাকি পুরো ঘটনাপ্রবাহ কোনো বৃহত্তর কৌশলের অংশ? কুখ্যাত আওয়ামী লীগ নেতা সাইনুলকে জামিনে মুক্ত করিয়ে আলোচনায় নীলফামারী-২ আসনের জামায়াত প্রার্থী। আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে জামায়াত প্রার্থীর ভোজসভা ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক গুঞ্জন। নীলফামারীতে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের জন্য জামাত-বিএনপি কি উঠে পড়ে লেগেছে?