সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, উত্তোলন ও স্থানান্তরের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ১২ একর ১৬ শতাংশ জমি ক্রোক এবং একটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ওই সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সালমান এফ রহমানসহ মোট ৩০ জন আসামি ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংকের প্রিন্সিপ্যাল শাখায় মর্টগেজ করা সম্পত্তির অস্বাভাবিক অতিমূল্যায়ন করেন। পরে জনসাধারণের কাছে বন্ড বিক্রি করে এক হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করে তা শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডের জিসিবি চলতি হিসাবে জমা দেন।
সেখান থেকে ২০০ কোটি টাকা রিডেম্পশন অ্যাকাউন্টে এফডিআর করা হয় এবং বাকি ৮০০ কোটি টাকা বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডসহ বেক্সিমকো গ্রুপ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে এসব হিসাবে ব্যাংকিং নিয়ম অমান্য করে নগদে এবং বিভিন্ন সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। আত্মসাৎ করা অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে লেয়ারিং করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
তদন্তকালে পর্যালোচিত রেকর্ডে দেখা যায়, আসামিদের এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডের নামে গাজীপুরে ১২ একর ১৬ শতাংশ স্থাবর সম্পত্তি ও একটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে।
দুদক জানায়, তদন্ত চলাকালে আসামিরা ব্যাংক হিসাবের অর্থ এবং স্থাবর সম্পত্তির মালিকানা অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। এমনটি ঘটতে দিলে মামলার রায় শেষে অপরাধলব্ধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। তাই সম্পদ স্থানান্তর ঠেকাতে স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা জরুরি হয়ে পড়ে।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
শীতের আগমনে শরীয়তপুরে গাছিরা খেজুর গাছ কাটায় ব্যস্ত
মেট্রোরেলের কার্ড অনলাইন রিচার্জ চালু হচ্ছে মঙ্গলবার
গ্রামীণফোনে ভারতীয়দের আধিপত্যের অভিযোগ: ১৩ বছরে ছাঁটাই ৩,৩৬০ বাংলাদেশি কর্মী