লটারির মাধ্যমে পুলিশ সুপার (এসপি) পদে কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধাবী কোনো কর্মকর্তা বাদ পড়েননি বলে জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার সচিবালয়ে এডিপি পর্যালোচনা সভার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “সমাজে দুর্নীতি রয়েছে, তবে সরকার তা কমাতে ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করছে। সড়কে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি, তবে তা কমানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”
উপদেষ্টা আরও জানান, এসপি নিয়োগের সময় বিভিন্ন জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় জেলার পুলিশ সুপারদের এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এরপর লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা হওয়ায় মেধাবী কোনো কর্মকর্তা বাদ পড়েননি।
এর আগে, ২৪ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’-তে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ৬৪ জেলার এসপি চূড়ান্ত করতে লটারির আয়োজন করা হয়। সাধারণত এই কর্মকর্তারা তিন বছরের জন্য পদায়ন করা হন এবং নির্বাচনের সময়কালীন দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর সব নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যাবে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, লটারির আগে ২৫, ২৭ ও ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে একটি ‘ফিট লিস্ট’ তৈরি করা হয়েছিল। সেই তালিকা থেকে লটারির মাধ্যমে ৬৪ জনকে নির্বাচিত করা হয়, যেখানে আগের দায়িত্বে থাকা এসপিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
টেকনাফ–সেন্টমার্টিনে রাতের অন্ধকারে ‘বার্টার-ড্রাগ’ বাণিজ্যের বিস্তার
ডিসেম্বরেই চালু হতে পারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট
২০৫০ নাগাদ জনসংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম শহর হতে যাচ্ছে ঢাকা: জাতিসংঘ