November 28, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, November 27th, 2025, 6:39 pm

ধানকাটা শ্রমিকদের সাথে পিঠা ও চা চক্রে বিএনপি নেতা প্রিন্সের অংশগ্রহণ

Oplus_16908288

হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ভোরের কুয়াশায় আছন্ন চারপাশ। ফজরের নামাজ শেষে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ধারাবাজারে কৃষি শ্রমিক হাটে ধান কাটার কাজে শ্রম বিক্রি করতে সমবেত হন শত শত কৃষি শ্রমিক। ঠিক সে সময় কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সেখানে হাজির হন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও ময়মনসিংহ-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

আজ (২৭ নভেম্বর) সকালে কৃষি শ্রমিকদের হাটে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের জন্য তিনি আয়োজন করেন ভাপা পিঠার নাস্তা। ঘুরে ঘুরে তিনি এ নাস্তা সকলের হাতে তুলে দেন।

হঠাৎ করে প্রিন্সের এই আয়োজনে এবং তার এমন মানবিক আচরণে শ্রমিকদের মাঝে দেখা যায় বাধভাঙা আনন্দ। ভাপা পিঠা আর গরম চায়ের আড্ডায় কৃষি শ্রমিকরা এমরান সালেহ প্রিন্সের সাথে নিজেদের সুখ-দুঃখ, শ্রমের কষ্ট, মজুরি বৈষম্য ও পরিবারের বাস্তব সমস্যা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন।এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা শ্রমিকদের হাতে ধানের শীষ ও প্রিন্সের ছবি যুক্ত গেঞ্জি উপহার দেন। শ্রমিকরা সেখানেই গেঞ্জি পরে প্রিন্সকে সঙ্গে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল বের করেন। মিছিলে শ্রমিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

এর আগে ধারা বাজারে সমবেত কৃষি শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বাংলাদেশের মাটির শক্তি কৃষক ও কৃষি শ্রমিক। এই শ্রমিকদের ঘামেই দেশ চলেছে, অথচ তাদের জীবনমান আজও অবহেলা, দারিদ্র্য আর অনিশ্চয়তার মধ্যে বন্দী। যে শ্রমিক সোনার ফসল ফলায়, সেই শ্রমিকই বছরের পর বছর অভাবে দিন কাটায় এটা দেশের জন্য লজ্জা।

তিনি অভিযোগ করেন, গত দেড় দশক ধরে ফ্যাসিস্ট  সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট আর সিন্ডিকেটের কারণে কৃষি শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া নিরীহ মানুষ সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত হয়েছে। মাঠে ফসল ফলানো মানুষ ন্যায্যমূল্য পায় না, অথচ লুটপাটের রাজনীতিতে জড়িত একদল ব্যক্তি হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। গরিব মানুষের কষ্টের ঘাম শোষণ করেই তাদের রাজনৈতিক প্রাসাদ দাঁড়িয়ে আছে।তাদের মেগা দুর্নীতির মেগা প্রজেক্টের যাঁতাকলে পিস্ট হয়ে গ্রামের ঘরে ঘরে ছিলো নিরন্ন বুভুক্ষু মানুষের বোবা কান্না।

প্রিন্স বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে কৃষি ও শ্রমিকসহ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নই হবে প্রথম অগ্রাধিকার। জনগণের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষি সাপোর্ট সেন্টার স্থাপন করে কৃষক-শ্রমিকদের সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধান করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, আপনারা মাঠে ঘামে ভিজে যে পরিশ্রম করেন সেই শ্রমেই বাংলাদেশ চলে। অমরা খেয়ে পড়ে বাঁচি। এই শ্রমিক, কৃষক, মেহনতি মানুষের কষ্ট-দুঃখ লাঘব করাই আমাদের রাজনীতি। যে রাজনীতি মানুষকে মূল্য দেয় না, সেই রাজনীতি আমরা করি না।

বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারলে দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য বন্ধ করে সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনবে। কৃষিশ্রমিকসহ দরিদ্র পরিবারে খাদ্যদ্রব্যের একটি অংশ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। সরকার গঠনের প্রথম ১৮ মাসে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।

শিক্ষিত বেকার যুবকদের বেকার ভাতা দেওয়া হবে।

গ্রামীণ এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হবে।

এসময় উপজেলা বিএনপি ও ইউনিয়ন পর্যায়সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কর্মী সমর্থকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।