November 28, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, November 28th, 2025, 6:54 pm

রাজধানীতে হাসিনা পরিবারের শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নামে-বেনামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদ রয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে দুদক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর দুদক ও এনবিআরের অনুসন্ধানে উঠে আসে হাসিনা পরিবারের বিভিন্ন অবৈধ ও লুকানো সম্পদের খোঁজ।

আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার স্বর্ণালংকারের কথা উল্লেখ করেন। তার বোন শেখ রেহানা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার দেখান। কিন্তু ব্যাংকের লকারের তথ্য তারা আয়কর রিটার্নে প্রকাশ করেননি, যা আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক।

দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীতে হাসিনা পরিবারের নামে শতকোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। গুলশান নিকেতনের ২নং রোডের ৭২ নম্বর বাড়ির মালিক হিসেবে আছেন শেখ রেহানা। তবে আয়কর নথি অনুযায়ী এই বাড়ির প্রকৃত মালিক তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। এছাড়া বারিধারার কে ব্লকের ১০ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাড়ির প্রকৃত মালিক শেখ পরিবার হলেও কাগজে-কলমে তা সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর নামে আছে।

সম্প্রতি হবিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন জানান, “ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সম্পত্তির একটি বিরাট অংশ গোপন রেখে ২০০৮ সালে নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, কৃষি সম্পত্তি ৫ দশমিক ২ একর দেখিয়েছিলেন, কিন্তু অনুসন্ধানে ২৯ একরের সম্পদ পাওয়া গেছে।”

হলফনামা বিশ্লেষণ অনুযায়ী, কৃষি খাত থেকে শেখ হাসিনার আয় ৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, শেয়ার ও ব্যাংক আমানত ২৫ লাখ টাকা, চাকরি থেকে বার্ষিক আয় ১৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। এছাড়া ব্যাংক সুদ ও এফডিআর থেকে ৩২ লাখ ২৫ হাজার টাকা, রয়্যালেটি ২৩ লাখ টাকা। নগদ ২৮ হাজার ৫৩০ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬০৭ টাকা, সঞ্চয়পত্র ২৫ লাখ টাকা, এফডিআর ৫৫ লাখ টাকা, ৩টি গাড়ি, ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার এবং ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার আসবাবপত্র দেখানো হয়েছে।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১৫ বিঘা কৃষি জমি, পূর্বাচলের ২৭নং সেক্টরের ২০৩নং রোডের ৯নং প্লট এবং ঢাকায় ৩ তলা ভবনসহ ৬ দশমিক ১০ শতাংশ জমি।

এনএনবাংলা/