দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরু করেছে। দেশের ইতিহাসে এটি প্রথমবার যে কোনো সাবেক দুদক চেয়ারম্যানকে নিজ সংস্থার অনুসন্ধানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থাকে নিশ্চিত করেছেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু এবং ইকবাল মাহমুদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, ইকবাল মাহমুদের ভাই সাদিক মাহমুদ বকুল ছিলেন ঠিকাদার মিঠুর ব্যবসায়িক সহযোগী। তাদের এই সম্পর্কের সুযোগে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক অনিয়ম এবং দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তবে ইকবাল মাহমুদের প্রভাবের কারণে তারা দীর্ঘদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, ঠিকাদার মিঠুর কাছ থেকে গুলশানের দুটি ফ্ল্যাট গ্রহণের বিষয়েও ইকবাল মাহমুদ জড়িত থাকতে পারেন। দুদক তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়েও অনুসন্ধান করবে।
সদস্যরা জানিয়েছেন, তার ভাই সাদিক মাহমুদ বকুলের সম্পদের উৎস, বিদেশে সম্ভাব্য লেনদেন এবং যৌথ ব্যবসার আর্থিক তথ্যও খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, ১১ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে থাকা ঠিকাদার মিঠু দুদককে স্বাস্থ্য খাতের বিস্তৃত অনিয়ম, পাচারকৃত অর্থ এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
শাহজালাল বিমানবন্দরে ৪ নারী যাত্রী থেকে ১০২টি মোবাইল জব্দ
রাজধানীর চকবাজারে আবাসিক ভবনে আগুন
ডেঙ্গুতে ঢাকায় আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬১০ জন