December 2, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, December 2nd, 2025, 6:27 pm

আস্থা ফিরিয়ে আনাই আগামী নির্বাচনের বড় চ্যালেঞ্জ: মাইকেল মিলার

 

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে, তারা এবার ভোট পর্যবেক্ষণে একটি বৃহৎ দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

মিলার বলেন, ২০২৬ সালকে সামনে রেখে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক অনুশীলনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে ইইউ বড় একটি পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে, যা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার প্রতি ইইউ–এর আস্থা ও সমর্থনের প্রতিফলন। তার মতে, নির্বাচনের প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

ইইউ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, দেশের বিপুল জনসংখ্যা ও বৈচিত্র্যময় বাস্তবতায় এবার মূল চ্যালেঞ্জ হবে সেইসব ভোটারকে কেন্দ্রে আনা—যারা আগে কখনও ভোট দেননি। অতীতের অভিজ্ঞতায় কেউ কেউ মনে করেছেন নির্বাচন অবাধ–সুষ্ঠু হবে না, আবার অনেকে সহিংসতার ভয়ে ভোট থেকে দূরে ছিলেন। তার দৃষ্টিতে, একটি সম্পূর্ণ প্রজন্মের ভোটে অনাগ্রহই বড় বাধা।

এ কারণে ভোটার শিক্ষার ওপর এখন বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে বলে মত দেন তিনি। জনগণকে নির্বাচন, ভোটপ্রক্রিয়া এবং গণভোটসহ জটিল অংশগুলোর তাৎপর্য সহজভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে—যা সরকার, ইসি এবং সব পক্ষের যৌথ দায়িত্ব বলেও মন্তব্য করেন মিলার।

তিনি জানান, লজিস্টিক ও নিরাপত্তাজনিত সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলোও ইসি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। ঝুঁকি কমিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব অংশীজনের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটের সময় বাড়ানোর বিষয়টি নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করছে, যা তার কাছে বাস্তবসম্মত মনে হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভোটের দিনে দেরির আশঙ্কা থাকায় এটি সহায়ক হতে পারে।

মিলার আরও জানান, গত সপ্তাহান্তে তিনি সিইসির সঙ্গে এক মহড়ায় অংশ নেন, যেখানে একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করা হয়। নির্বাচন কমিশনের পেশাদারিত্ব ও আগাম পরিকল্পনা তাকে মুগ্ধ করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতি, সক্ষমতা এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতিকে ইইউ স্বীকৃতি দেয়। তফসিল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হলে বহু বছর পর বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনে ইইউ তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

এনএনবাংলা/