বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই; বাজারে পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও মিলছে পর্যাপ্ত হারে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনি—অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে শীতের সবজিতে সপ্তাহ ব্যবধানে ফিরে এসেছে স্বস্তি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে— দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ১২০–১৪০ টাকা কেজি (গত সপ্তাহে ১১০–১২০), নতুন পেঁয়াজ (পাতাসহ): ৭০–৮০ টাকা (প্রতি কেজি), কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা রুবেল জানান, মৌসুমের পুরোনো পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষ। তাই দাম সামান্য বেশি। তবে বাজারে কোনো ঘাটতি নেই; চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতাদের ভাষ্য, গত এক সপ্তাহে কোম্পানিগুলো ধীরে ধীরে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। কিছু দোকানে এখনও পুরোনো দামের তেল মজুত আছে, তবে বেশির ভাগ দোকানেই নতুন দামের তেল বিক্রি হচ্ছে।
শীতের সবজিতে বড় ধরনের দাম কমেছে। কাঁচা মরিচ ৭০–১০০ টাকা কেজি (আগে ছিল ১২০–১৫০), শিম ৬০–৮০ টাকা কেজি (গত সপ্তাহে ১৫০ টাকার ওপরে), ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০-৬০ টাকা টাকা প্রতিটি।
কমেছে টমেটোর দামও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।

প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে পুরোনো আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
ডিম ও মুরগিতে ফিরেছে স্বস্তি। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা। ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
পাকিস্তান-ইন্দোনেশিয়াসহ ৪ দেশে বন্ধ হচ্ছে ভয়েস অব আমেরিকা
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবি সরকারি কর্মচারীদের
ভাঙ্গায় বাস-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ৪