ভারতে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়া বিরল ছত্রাকজনিত রোগ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ বাংলাদেশের দুজনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত একজন রোগী এখনো রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শনাক্ত হওয়া আরেকজন রোগী অন্য হাসপাতালে চলে গেছেন। এসব খবরের ভিড়ে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে দেশে এই প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে গত ২২ মে একজন রোগীর মৃত্যু হয়। আজ মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই রোগী অন্যান্য রোগের পাশাপাশি মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন।
মঙ্গলবার সকালে বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন বলেন, তিন দিন আগে ৬৫ বছর বয়সী একজন রোগীর মৃত্যু হয়। এই রোগীর অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস ছিল। তার কিডনির সমস্যা ছিল। তিনি কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছিলেন। চিকিৎসার সময় বোঝা যায়নি যে, তিনি মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর পর এটা জানা গেছে।
এদিকে, বারডেম হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত একজন রোগী ভর্তি আছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, তার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। তাকে নিয়মিত ওষুধ দেয়া হচ্ছে। ওষুধের দাম অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওষুধের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে একটি কেবিনে ৫৫ বছর বয়সী এই রোগীর চিকিৎসা চলছে। রোগীর বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। প্রায় এক মাস আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি যান। কিন্তু আবার জ্বর দেখা দিলে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে বারডেমে নেয়া হয়।
অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রোগী চার-পাঁচ বছর ধরে ডায়বেটিসে ভুগছেন। এরপর তিনি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। জ্বর ও কাশি কমে না যাওয়ায় চিকিৎসকেরা তাকে যক্ষ্মার ওষুধও দিয়েছেন। এখন দেখা যাচ্ছে, তিনি মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত।
উল্লেখ্য, ভারতে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৮০০ জন এই ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন
সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নিবন্ধনসহ যা করতে হবে পর্যটকদের
জান্নাতে বাবা-মায়ের সাথে সন্তানরা যেভাবে মিলিত হবে
কিশমিশ-মনাক্কায় যত উপকার