December 23, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, December 21st, 2025, 3:42 pm

মগবাজারে ভাই-বোনের রহস্যমৃত্যু, পুলিশের ধারণা খাবারে বিষক্রিয়া

 

রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস মোড় এলাকায় একটি বাসা থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফুড পয়জনিংয়ের (খাবারে বিষক্রিয়া) কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশুদের মা-বাবাও একই খাবার খেয়ে অসুস্থ ছিলেন, তবে তারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সুমন মিয়া জানিয়েছেন, শনিবার রাতে মগবাজার ওয়্যারলেস মোড়ের ৯১ নম্বর এসএইচএস টাওয়ারের নিচে গ্যারেজে রাখা একটি ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স থেকে শিশু দুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে শিশুদের শরীরে কোনো জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

পরিবারের বরাত দিয়ে জানা গেছে, শিশুদের বাবা মোসলে উদ্দিন চৌধুরী গার্মেন্টসের জেনারেল ম্যানেজার এবং মা সাইদা জাকাওয়াত আরা গৃহিণী। গতকাল শনিবার সকালে মেয়ে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় রাসমুন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে পরিবার যখন তার মরদেহ বাসায় নিয়ে আসে এরপর ছেলেটিও বমি করা শুরু করে। অসুস্থ হয়ে পড়া দেখে পরবর্তীতে তাকে মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে শনিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছেলে শিশুটি।

এসআই সুমন মিয়া বলেন, “শিশুদের মা-বাবাও অসুস্থ হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে শিশু দুটির মৃত্যু হয়েছে। তবে তাদের খাবার বাসায় রান্না করা হয়েছিল নাকি বাইরে থেকে আনা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

শিশুদের চাচা তৌহিদ আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আফরিদা বেইলি রোডের ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ১৬ ডিসেম্বর তার জন্মদিনে পরিবারটি বাইরে রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়েছিল। তিনি বলেন, “কোন খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন তা আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।”

হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মুর্তুজা বলেন, “দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই খাবার খেয়ে মা-বাবাও অসুস্থ ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ফুড পয়জনিংয়ের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”

এনএনবাংলা/