জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
চতুর্থবারের মতো সিলেট বিভাগের মধ্যে সেরা করদাতা (২০২০-২১) হয়েছেন তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা একেএম আতাউল করিম। সম্প্রতি তার নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (২৪ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে বিভাগীয় পর্যায়ের এই সম্মাননা তার হাতে তুলে দেয়া হবে।
এর আগে ২০১৯-২০, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৭-১৮ সালে একইভাবে সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা করদাতার মর্যাদা পেয়েছিলেন তিনি। একইভাবে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালেও দেশের সেরা করদাতা হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৪১টি ট্যাক্সকার্ড দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। তার মধ্যে একজন ছিলেন সিলেটের একেএম আতাউল করিম। সিলেট নগরীর সুবিদবাজার ফাজিলচিস্ত এলাকার বাসিন্দা ও সিলেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মোতওয়াল্লী, লালদিঘীর পাড়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক আবু বকর মার্চেন্ট ও মোছা. জাহানারা বকর’র একমাত্র পুত্র একেএম আতাউল করিম দেশের শীর্ষস্থানীয় এবিএম ওয়াটার কোম্পানীর কর্ণদার।
একইসাথে তিনি পরিবেশ প্রকৌশল ব্যবসা, রেইনহারভেস্ট প্রজেক্ট, সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও কন্টেইনার হেন্ডেলিং ব্যবসা পরিচালিত করছেন। তার এবিএম ওয়াটার কোম্পানীর মাধ্যমে বাংলাদেশের সাবমেরিন, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, বাংলাদেশের বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল চট্টগ্রামের মিরশরাই ও চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর বানৌজা ইশাখা ঘাটিতে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছে। সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ওয়াটার ট্রিটম্যান্ট প্ল্যান্ট স্থাপন, বাংলাদেশের সবগুলো চিনিকলে বর্জ্য অপসারণ প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে তার হাত ধরেই। একইভাবে তিনি কক্রবাজার সিটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং টেকনাফ শহর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করেছেন।
প্রসঙ্গত, এবিএম গ্রুপ প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করে খ্যাতি অর্জন করেছে। বর্তমানে এবিএম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ছয় শতাধিক কর্মী কাজ করছেন। কোম্পানির বার্ষিক টার্নওভার ২৯৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন
শেরপুর ও ময়মনসিংহে আকস্মিক বন্যা, তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম
ময়মনসিংহে মোবাইল বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু
দীর্ঘ নির্বাসন শেষে দেশে ফিরলেন মাহমুদুর রহমান