অনলাইন ডেস্ক :
করোভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ‘ওমিক্রন’ এর আতঙ্কে নিজের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরের কল্যাণপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসক পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম ডা. সুশীল কুমার। তিনি কানপুরের একটি হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডা. সুশীল কুমার প্রথমে তার ৪৮ বছর বয়সী স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর ওই চিকিৎসক তার দুই শিশুকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন। ঘটনার পর ডা. সুশীর তার ভাইকে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে পুলিশে ফোন করতে বলেন। অভিযুক্ত চিকিৎসক ওই বার্তায় করোনা পরিস্থিতি থেকে সবাইকে মুক্তি দেওয়ার কথাও লিখেন। পরে পুলিশ লাশ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। তদন্তকারীরা অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের ঘর থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছেন। সেখানে তিনি সবাইকে হত্যার কথা লিখেছেন। শুধু তাই নয়, ওমিক্রনের কথাও সেখানে উল্লেখ করেছেন তিনি। একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় অভিযুক্ত ব্যক্তি লিখেছেন, লাশ গুনতে গুনতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। করোনা কাউকে ছাড়বে না। অভিযুক্ত ব্যক্তি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমবার জনসমক্ষে খামেনি
বিমানে ২০০ জনকে সীমান্তে আনলো ভারত, টার্গেট বাংলাদেশে ‘পুশইন’
নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠনের ঘোষণা ইলন মাস্কের