নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কলেজছাত্র মফিজুল ইসলাম হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ৫০ হাজার এবং যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তদের ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় সময় ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামিসহ ৩ জন পলাতক এবং বাকি ৭ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত সোনারগাঁয়ের জানপুর ইউনিয়নের মুছারচর এলাকার মৃত জুলহাস মিয়ার ছেলে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩৮)। এ ছাড়া তার ছোট ভাই যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আলমগীর (৩৫) ও বাসিত (২৮)। তারা পলাতক রয়েছেন। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, আসাদ, শাহ জামাল, জুয়েল, মমতাজ বেগম, কল্পনা বেগম, কামাল ও নজরুল ইসলাম। আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জাসমীন আহমেদ বলেন, ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উল্লিখিত আসামিরা শহীদুল্লাহর বাড়িতে টেঁটা ও ধারালো ছুরিসহ হামলা চালান। এ সময় শহীদুল্লার কলেজ পড়ুয়া ছেলে মফিজুল ইসলামকে টেঁটা দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেন। একইসময় বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এতে আরও কয়েকজন আহত হন। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১২ জনের সাক্ষগ্রহণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেছেন। এটি একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা ছিলো। আদালতে রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিহত মফিজুল ইসলামের বাবা শহিদুল্লাহ বলেন, আমার ছেলে মদনপুর ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। আমার ছেলেকে তারা নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। আদালতের রায়ে আমি সন্তুষ্ট। এখন আদালতের কাছে আমার দাবি থাকবে আদালত যেন দ্রুত এই রায় কার্যকর করেন।
আরও পড়ুন
কমলগঞ্জে ভুট্টার বাম্পার ফলন সম্ভাবনা
আড়াই বছর ধরে বিএসএফের বাঁধায় কাজ বন্ধ, মনু পাড়ে বন্যা আতঙ্ক
রংপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনানালে ১৫৪২টি ধর্ষণের মামলা বিচারাধীন