অনলাইন ডেস্ক :
শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবে পূর্ব ইউক্রেনে প্রবেশের জন্য সেনাদের নির্দেশ দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর আগে প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছন্নতাবাদী দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদান করেন। ক্রেমলিন ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলের স্বাধীনতা স্বীকৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার জন্য তার বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। তিনি এই দুটি এলাকায় শান্তি রক্ষার কার্যক্রমের জন্য রুশ সৈন্য প্রেরণের জন্য একটি ফরমানে সই করেন। তার এ নির্দেশে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের সূচনা বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা শক্তি। এদিকে শান্তি রক্ষার নামে ইউক্রেনে সেনা প্রেরণের নির্দেশের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, রাশিয়ান বাহিনী শান্তিরক্ষী হিসাবে এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে, যা অবাস্তব। আমরা জানি তারা আসলে কী। আসলে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর একটি বাহানা খুঁজছে। গত বছর ধরে ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সৈন্য সমাবেশের পর থেকেই আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো দাবি করে আসছে রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাবে। যদিও বরাবরই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে হামলার কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেন যে কখনই ন্যাটোতে যোগদান করবে না তারও গ্যারান্টি চায় মস্কো। এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল নিজেদের দখল নেয় রাশিয়া। এ কাজে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যবহার করে মস্কো।
আরও পড়ুন
কার দিকে, কেন তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম
দাবানলে পুড়ছে হলিউড হিলস
জামায়াতে আমিরের সঙ্গে একান্ত বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার