অনলাইন ডেস্ক :
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস পূর্ব ইউক্রেনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ায় রাশিয়ার উদ্যোগের সমালোচনা করে এটি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন। একই সাথে আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং মস্কোর এই পদক্ষেপ ‘শান্তিরক্ষার ধারণার বিকৃতি’ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘ প্রধান মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের কৃতিত্বের জন্য গর্বিত, কিন্তু যখন এক দেশের সৈন্যরা অন্য দেশের ভূখণ্ডে তার সম্মতি ছাড়া প্রবেশ করে, যেমনটি রাশিয়ান বাহিনী করেছে, ‘তারা তা নয়। তারা নিরপেক্ষ শান্তিরক্ষী নয়-তারা মোটেও শান্তিরক্ষী নয়’ যেমনটি মস্কো করেছে।
গুতেরেস বলেন, রাশিয়ার একতরফা পদক্ষেপ জাতিসংঘের সনদের সাথেও ‘সাংঘর্ষিক’ এবং পূর্ব ইউক্রেনে শান্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ‘মিনস্ক চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন’।
তিনি ‘এই সংকটময় মুহূর্তে’ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, ‘সংযম এবং যুক্তি’ এবং এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিকে দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে এমন পদক্ষেপ বা বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, নতুন আইন পাশের মাধ্যমে ইউক্রেনের বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলে নিজেদের দখলকে সুরক্ষিত করার জন্য আরও একধাপ এগিয়ে গেল রাশিয়া। এই আইনের মাধ্যমে মস্কো ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের অনুমোদন পাবে। অন্যদিকে এই পদক্ষেপের কারণে মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমারা।
রাশিয়ার এই নতুন আইন কোনো রকম বিচার-বিবেচনা ছাড়াই অনুমোদন দেয়া হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা আশঙ্কা করছে এই আইনটি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের জন্য একটি অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। কেননা এর একদিন আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছে।
সোমবার গভীর রাতে পুতিন ডিক্রিতে স্বাক্ষর করার পরপরই সাঁজোয়া বাহিনীর কনভয়কে বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল জুড়ে ঘুরতে দেখা গেছে। তবে তারা রাশিয়ান কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।
আরও পড়ুন
চিকিৎসা না পেলে আবার জুলাই হবে: পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের হুঁশিয়ারি
উত্তাল হতে পারে সাগর, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
‘মব’ তৈরি করে মারধর, চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী নেতার পদ স্থগিত