অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন স্বার্থের জন্য একটি গণতান্ত্রিক পাকিস্তান জরুরি বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি। গত সোমবার শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এমন মন্তব্য করে যুক্তরাষ্ট্র। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অনাস্থা প্রস্তাব আনার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে বারবার অভিযোগ করে আসছেন। এই অনাস্থা প্রস্তাবেই গত শনিবার মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। নতুন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে মেনে নিতেও অস্বীকৃতি জানিয়ে ইমরান বলেছেন, ‘দেশের জন্য এর চেয়ে বড় অপমান আর হয় না।’ তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন পাকিস্তানে কোনও ভূমিকা থাকার কথা অস্বীকার করেছে। হোয়াইট হাউজে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেন সাকি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সংবিধানের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখাকে সমর্থন করি, ‘আমরা কোনও একটি রাজনৈতিক দলকে অপরটির চেয়ে বেশি সমর্থন করি না’। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘নিশ্চিতভাবে’ আইনের শাসন এবং আইনের অধীনে সমতার ন্যায়বিচার সমর্থন করে। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সহযোগী পাকিস্তানকে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই একটি সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক পাকিস্তান মার্কিন স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। জেন সাকি বলেন, নেতৃত্বে যেই থাকুক যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। জো বাইডেন শাহবাজ শরিফকে ফোন করবেন কিনা জানতে চাইলে জেন সাকি বলেন, ‘ভবিষ্যতের বিষয় নিয়ে এই মুহূর্ত এবং সময়ে কোনও কিছু অনুমান করা যায় না, নিশ্চিতভাবে আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখবো।’ ২০২১ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর জো বাইডেন কখনোই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে টেলিফোন আলাপ করেননি। সূত্র: জিও নিউজ
আরও পড়ুন
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে কতটা প্রভাব ফেলবে ইরানের আঞ্চলিক মিত্ররা
নোবেলতুল্য পুরস্কার পেলেন ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী ইসা
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় খনি ধসে নিহত ১৫, নিখোঁজ ২৫