নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি :
ঈদের দিন দুপুরে অঝোর বৃষ্টির পর বিকেলে সোনালী রোদের ঝলমলে প্রকৃতিতে দুদেশের সীমান্ত এলাকা দেখতে অগণিত মানুষের ঢল নামে বাংলাদেশ – ভারত মৈত্রী সেতুতে।
রামগড় ও দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুম সীমান্তবর্তী ফেনীনদীর ওপর অবস্থিত দৃস্টিনন্দন মৈত্রী সেতুটি পরিণত হয় পাহাড়ি-বাঙ্গালি, আবালবৃদ্ধবণিতার আনন্দপুরিতে। রং বেরংয়ের নতুন পোশাক আর সুন্দর সাজসজ্জায় আগত বিভিন্ন বয়সী দর্শণার্থীর উপস্থিতি বর্ণীল করে তোলে মৈত্রী সেতুকে। দূরদূরান্ত খেকে
পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে এখানে এসে ঈদ আনন্দ উপভোগ করেন অসংখ্য মানুষ। তবে বড়দের আনন্দ থেকে ছোটদের আনন্দ ও উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। শিশু-কিশোরদের দৌড়াদৌড়ি ও হুড়াহুড়ি, সেলফী তোলা সব মিলিয়ে মুখরিত হয়ে উঠে এ সেতু এলাকা। সেতুর ওপর বাংলাদেশ অংশে দাড়িয়ে ওপারের ভারত দর্শণ ছিল সবার কাছে প্রধান আকর্ষণ। সেতুতে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরাও দর্শণার্থীর আবেগ আনন্দ উপভোগে কোন প্রকার বাধা দেয়নি। তারা নির্দিষ্ট সীমানায় থেকে দর্শণার্থীদের আনন্দ উপভোগের সুযোগ করে দেন। রামগড়ের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলাসহ ফটিকছড়ি, মীরেরসরাই, ফেনী প্রভৃতি এলাকা থেকেও অসংখ্য দর্শণার্থী আসেন।
মৈত্রীসেতু ছাড়াও রামগড়ের লেকপার্ক, ঝুলন্তসেতু দেখতে আসেন অসংখ্য দর্শণার্থী। ঘোরাঘুরি শেষে তারা লেকপার্কে অবিস্থত লেকভিউ ও গোধূলি রেস্তোরাঁয় মুখরোচক খাবার- দাবারেও রসনাবিলাস করেন।
আরও পড়ুন
শেরপুর ও ময়মনসিংহে আকস্মিক বন্যা, তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম
ময়মনসিংহে মোবাইল বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু
দীর্ঘ নির্বাসন শেষে দেশে ফিরলেন মাহমুদুর রহমান