নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে গত বছরের জুন থেকে সব দেশের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে আগমনী ভিসা (ভিসা অন-অ্যারাইভাল) বন্ধ আছে। কিন্তু এরপরও অনেকে বিমানবন্দরে পৌঁছে অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য আবেদন করছেন। এই পরিস্থিতিতে অন-অ্যারাইভাল ভিসার স্থগিতের কথা মনে করিয়ে দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে প্রথমে গত বছরের ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে সব ধরনের অন-অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিত ঘোষণা করে সরকার। এরপর বন্ধ হয়ে যায় বিমান যোগাযোগও। পরে সাধারণ ছুটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দফায় দফায় বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়। একই সঙ্গে বাড়ে অন-অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিতের মেয়াদও। পরে ওই বছরের ১৬ জুন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থাগিত করা হয় অন-অ্যরাইভাল ভিসা। তবে শুধুমাত্র বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান ভিসা নীতিমালার আলোকে বাংলাদেশে আগমনী ভিসা প্রদান চালু রাখা হয়। এ বিষয়ে সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগ) মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, অন-অ্যারাইভাল ভিসা বহুদিন ধরে বন্ধ আছে। শুধু বিজনেসম্যান ও ইনভেস্টররাই শুধু আসতে পারবেন। ওই অবস্থাটাই আছে। তারপরও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের লোক অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য চলে আসে, বিমানগুলো তাদের তুলে ফেলে। এতে বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়। এজন্য ভিসা স্থগিতের সিদ্ধান্ত সবাইকে মনে করিয়ে দিয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব (বহিরাগমন-৫ ও ৬ শাখা) তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমাদের এখান থেকে একটা চিঠি গেছে। বাংলাদেশে অন-অ্যারাইভাল ভিসা আগে থেকেই বন্ধ আছে। তারপরও অনেকে ভিসার জন্য চলে আসে, আবার কাউকে মানবিক কারণেও দিতে হতো। সেটা স্ট্রিক্টলি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪ রোগী
মুজিববর্ষের বাজেট বরাদ্দ বাতিল করলো অন্তর্বর্তী সরকার
নির্বাচনে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পূর্ণ ক্ষমতা চায় ইসি