অনলাইন ডেস্ক :
বছর ঘুরে নাকের ডগায় পবিত্র ঈদুল আযহা। অন্যান্যবার ঈদ আসার আগেই কেনাকাটায় ধুম পড়ে যায় চিত্রনায়িকা দীঘির। এবার তা থাকছে না। আর কোরবানির ঈদ বলেই গরু কেনা গরু দেখার স্মৃতিগুলোই সামনে চলে আসে। কুরবানির ঈদ ঘিরে থাকে পশু কোরবানির তোড়জোড় ও পশু কেনাকাটা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় দীঘিকে। শিশুশিল্পী থেকে চিত্রনায়িকা হয়ে ওঠা দীঘি কখনো পশু কিনতে হাটে যাননি। তবে তার বাবা বা আত্মীয়রা যখন হাটে যেতেন বাসার নিচে পর্যন্ত তাদের সাথে যাওয়ার জন্য কিন্তু নিতেন না। পরে মনখারাপ করে বাসার গ্যারেজে বসে থাকতেন যতক্ষণ না গরু কিনে আনতো। মজার অভিজ্ঞতা জানিয়ে দীঘি বলেন, এখন ইনবক্সে গরুর ছবি একে ওকে পাঠানো হয়। কিন্তু আমি যখন ছোট ছিলাম নিজে আশাপাশের বাসার গ্যারেজে গিয়ে দেখে আসতাম কারা কেমন গরু কিনেছে। কাদের গরুর রঙ কেমন। এই স্মৃতিগুলো খুব মিস করি। কোরবানির তিন দিন আগে গরুর প্রচুর যতœ নিতাম। খাওয়াতাম, গোসল করার সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকতাম। নতুন জামা কেনার বিষয়ে তিনি জানান, ঈদের মাসখানেক আগে থেকে কেনাকাটা করেন। প্রতি ঈদে তার কমপক্ষে ১০টি ড্রেস থাকেই। কিন্তু করোনার কারণে গত দুই বছর মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটা করতে পারেন না দীঘি। তাই বলে ঈদ কেনাকাটা থেমে নেই কাবুলিওয়ালা, চাচ্চু খ্যাত একসময়কার জনপ্রিয় এই শিশুশিল্পী। তিনি ঘরে থেকে অনলাইন ঘেঁটে পছন্দের সব ড্রেস কিনছেন গত দুইবছর। এবারও তাই করেছেন দীঘি। দীঘি বলেন, রোজার ঈদ হোক বা কোরবানির ঈদ হোক আমার কমপক্ষে ১০টি নতুন ড্রেস থাকেই। বতর্মানে কেনাকাটা চলছে। নিজে বেছে বেছে কিনি। বাবা উপহার দেয়, মামা কিনে দেন। সবমিলিয়ে আমার ১০টির নিচে ড্রেস হয় না। অনেকবার এমনও হয়েছে ১০টি বেশি ড্রেস হয়েছে। ঈদের ড্রেস ১০টির বেশি হলেও দীঘি ঈদ উদযাপন করে ৭দিন ব্যাপী। তিনি বলেন, আমি এখনো ঈদের সময় বাচ্চাদের মতো সকাল, দুপুর, বিকেল সন্ধ্যা একেক সময়ে একেক ড্রেস পরি। বছরে আমাদের এই দুইটিই উৎসব। এই উৎসব ঘিরেই যত আনন্দ ইচ্ছেমতো উদযাপন করি। ছোট থেকে দীঘি সালামি পেয়ে এলেও গত দুই ঈদে সালামি দিয়েছেন। আলাপকালে একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পীর গৌরব অর্জনকারী দীঘি বলেন, আমার ছোট কয়েকজন কাজিন আছে। ওরা সালামির জন্য নাছোড়বান্দা হয়ে থাকে। তাদের দুই ঈদে ওদের সালামি দিয়েছে। তখন মনে হয়েছে আমি বোধহয় বড় হয়ে গেছি। কারণ, সালামি তো বড়রা দেয়। হাহাহা…কথার শেষ দিকে দীঘি বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে আমাদের প্রত্যেকের ঈদ গুলো মলিন হয়ে গেছে। খুব মন খারাপ হয়। মনে হয় আবার কবে আমরা সেই পুরাতন ঈদের আনন্দ ফিরে পাবো। প্রত্যাশা থাকবে, শিগগিরই পৃথিবী থেকে মহামারী দূর হবে, আমরা আবার আগের অবস্থায় ফিরব।
আরও পড়ুন
ফারুকী, সেলিম, রাফি, হিমেলসহ আলোচিত ৮ পরিচালক
২৫ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে জনপ্রিয় আরজে
দীর্ঘদিন পর ফেরা তারকারা