অনলাইন ডেস্ক :
সমস্যাটি পুরনো, ভোগান্তিও চলমান। তবে সামনে যখন বিশ্বকাপ এবং সেই আসর অস্ট্রেলিয়ার মতো জায়গায়, সমস্যাটি তখন আরও বড় হয়ে ফুটে উঠছে লিটন কুমার দাসের চোখে। স্টাইলিশ এই ব্যাটসম্যানের ধারণা, পাওয়ার ক্রিকেট বা শক্তির জায়গায় পিছিয়ে থাকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিশাল সব মাঠে ভুগতে হবে বাংলাদেশকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ শেষে লিটন কথাগুলো বলছিলেন কাইল মেয়ার্স ও নিকোলাস পুরানের ব্যাটিং প্রসঙ্গে। দল যখন চাপে, এই দুজনের ৫১ বলে ৮৫ রানের জুটি ম্যাচে গড়ে দেয় ব্যবধান। ৭ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ৩ উইকেটে ৪৭। কিন্তু ১৬৪ তাড়া করে ফেলে তারা ১০ বল বাকি রেখেই। ৩৮ বলে ৫৫ করে আউট হন মেয়ার্স। অধিনায়ক পুরান ৩৯ বলে অপরাজিত ৭৪ করে দলকে জিতিয়ে তবেই ফেরেন। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের বোলিংয়ের ঘাটতির কথা যেমন বললেন লিটন, তেমনি কৃতিত্ব দিলেন মেয়ার্স-পুরানকেও। সেখানেই তিনি তুলে ধরলেন ক্যারিবিয়ানদের সঙ্গে নিজেদের পার্থক্য। “বোলিংয়ে আমরা ঠিকমতো বাস্তবায়ন করতে পারিনি (পরিকল্পনার)। তবে ওদেরকেও কৃতিত্ব দিতে হবে, যেভাবে ওরা ব্যাটিং করেছে, পুরান ও মেয়ার্স, খুব ভালো ভালো বলেও ওরা মেরে দিয়েছে। এই জিনিসটা ওদের প্লাস পয়েন্ট, পাওয়ার ক্রিকেট খেলে, যেটা আমরা খেলতে পারি না। এই ব্যাপারগুলি বোলারদের মাথায় কাজ করে যে একটু উনিশ-বিশ হলেই মেরে দেবে।” “ওরা জেনেটিক্যালি অনেক পাওয়ারপুল, যেটা আমি নই বা আমাদের দলের কেউ নয়। তারা যে কোনো সময় চাইলেই বড় মাঠে শট খেলতে পারে, ছয় মেরে দিতে পারে। আমরা বা আমাদের দলের কারও সেই সামর্থ্য নেই। আমরা ব্যাটিংয়ে সবসময় চেষ্টা করি চার মারার জন্য। আমাদের খেলায় চার বেশি হয় ওদের তুলনায়, ওরা ছয় বেশি মারে। এখানে অনেক পার্থক্য থাকে।” এই পার্থক্য নিয়েই বিশ্বকাপের দিকে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পর মূল পর্বে আর কখনও কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। এবার বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হবে মূল পর্বে, চ্যালেঞ্জ তাই আরও কঠিন থাকবে। শক্তিতে পিছিয়ে থাকায় এবারও বাংলাদেশের জন্য কাজটি কঠিন হবে বলে মনে করেন লিটন। “ভালো ভালো দলগুলি থেকে আমরা অনেক পেছনে এখনও টি-টোয়েন্টিতে। আমাদের অনেক জায়গায় কাজ করার আছে। আমরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে পারি না। টি-টোয়েন্টি অনেকে বলেন স্কিলের খেলা, অনেক বলে টেকনিকের খেলা, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, পাওয়ার গেমও অনেক সময় দরকার পড়ে। আমার মনে হয়, এই জায়গায় আমরা অনেক পেছনে।” “বিশ্বকাপে আমরা যেখানে খেলব, মাঠ অনেক বড় থাকবে। সেখানে এই জিনিসটা আমাদের অনেক ভোগাবে। এখান থেকে আমরা যত ম্যাচ খেলব, উন্নতি করব, তাহলে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারব বিশ্বকাপে।” বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ আর তিনটি সিরিজ-টুর্নামেন্ট পাবে নিজেদের তৈরি করার। আগামী মাসের শুরুতে তিন ম্যাচের সিরিজ জিম্বাবুয়েতে। ওই মাসের শেষে দিকেই এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কায়। এরপর বিশ্বকাপের ঠিক আগে ত্রিদেশীয় সিরিজ নিউ জিল্যান্ডে, যেখানে আরেক দল পাকিস্তান।
আরও পড়ুন
ঝোড়ো ইনিংস খেলে কেন মাহমুদউল্লাহকে কৃতিত্ব দিলেন রিশাদ?
বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে বাংলাদেশ
মুখোমুখি হচ্ছেন সাকিব-তামিম