অনলাইন ডেস্ক :
ক্যালিফোর্নিয়ায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ বৃক্ষ সেকোইয়াকে বাঁচাতে জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বন বিভাগ। তারা সেকোইয়া রক্ষার প্রকল্পগুলিকে আরও দ্রæততার সাথে বাস্তবায়ন করার কথা বলেছে। বৃহত্তম ওই গাছগুলিকে দাবানলের ক্রমবর্ধমান হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য তারা বনভ‚মিতে বড়ো বড়ো গাছের নিচে ছোটো ছোটো গাছের ঝোপ বা আন্ডারব্রাশ পরিষ্কার করার কার্যক্রম সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই শুরু করতে যাচ্ছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার বন বিভাগের প্রধান র্যান্ডি মুর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জরুরি পদক্ষেপ না নিলে, দাবানল আরও অসংখ্য সুপরিচিত বিশাল বিশাল সেকোইয়াকে ধ্বংস করতে পারে।’ আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম এই গাছগুলো এর আগে কখনও এমন হুমকির মুখে পড়েনি। বন বিভাগের ঘোষণাটি মধ্য ক্যালিফোর্নিয়ার সিয়েরা নেভাদা রেঞ্জের পশ্চিম ঢালে পাওয়া প্রজাতিগুলিকে বাঁচানোর জন্য চলমান বিভিন্ন প্রচেষ্টার মধ্যে একটি। সেকোইয়া ন্যাশনাল ফরেস্ট এবং সিয়েরা ন্যাশনাল ফরেস্ট জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ১২টি কুঞ্জবনে এই গ্রীষ্মের সাথে সাথেই কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, ঝোপঝাড়, পড়ে থাকা কাঠ এবং ছোট গাছগুলি দিয়ে তৈরি তথাকথিত মই যা আগুনকে উপরের দিকে ছড়িয়ে দিতে উস্কে দেয়, সেগুলো অপসারণ করতে ২.১ কোটি ডলার খরচ হবে। তবে কিছু পরিবেশবাদী গোষ্ঠী বাণিজ্যিক গাছ কাটার অজুহাত হিসাবে বন পাতলা করার সমালোচনা করেছে। সেকোইয়া বনরক্ষক গ্রæপের নির্বাহী পরিচালক আরা মারডেরোসিয়ান এই ঘোষণাকে একটি ‘সু-সংগঠিত জনসংযোগ প্রচারণা’ বলে অভিহিত করেছেন। প্রচÐ শক্তিশালী সেকোইয়া, পুরু ছাল দ্বারা সুরক্ষিত এবং এর পাতাগুলি সাধারণত অগ্নিশিখার উপরেও টিকে থাকে, যা একসময় প্রায় দাহ্য হিসাবে বিবেচিত হত। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে অগ্নিকাÐে দেখা গেছে, গাছগুলো তিন হাজার বছরেরও বেশি বেঁচে থাকতে পারে, তবে তারা অমর নয় এবং তাদের রক্ষা করার জন্য আরও বড় পদক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে।
আরও পড়ুন
মিয়ানমারে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে মানুষ
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমবার জনসমক্ষে খামেনি
বিমানে ২০০ জনকে সীমান্তে আনলো ভারত, টার্গেট বাংলাদেশে ‘পুশইন’