বাংলাদেশে ২১ জুলাই পর্যন্ত ১৬৪২ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন (১.৬৪ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স এসেছে।
এর মানে হলো-২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের ১ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা গড়ে ৭৮ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে এক দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সত্ত্বেও ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ।
২০২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স থেকে আয় ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে যায়। এ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া ও অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর জন্য এমনটা হয়।
বৈধ চ্যানেল ব্যবহারে সরকারের দেয়া প্রণোদনা সত্ত্বেও প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধ পথে আসে বলে সন্দেহ করছেন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র জানায়, মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক বৈধ কাগজপত্রের অভাবে সঠিক ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠাতে ব্যর্থ হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ছয়টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ২৫৪ দশমিক ৯২ মিলিয়ন মিলিয়ন, দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক ২৭ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন, ৪১টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ১৩৫৬ দশমিক ২২ মিলিয়ন ও ৯টি বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক ৩ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স পেয়েছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
পিছিয়ে থেকেও ফেরার গল্প লিখল বাংলাদেশ
লুকিয়ে রাখা বাচ্চা পৌঁছে দিলে ২০ হাজার ডলার দিব: তানজিন তিশা
ছাত্রীকে ইমো কলে দেখতে চাওয়া সেই ইবি শিক্ষক বরখাস্ত