অনলাইন ডেস্ক :
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তা জানতে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুরে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার (২৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ইকবাল (৪৩) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ইকবাল সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে। তার পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি জ¦র, ঠা-াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিলেন। বুধবার (২৮ জুলাই) করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে তাকে হাসপাতালের বিএমএ ভবনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ফরম পূরণ করে তিনি লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে তিনি মাটিতে ঢলে পড়েন। পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইসিজি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোলায়মান মিয়া বলেন, ইকবাল নামের ব্যক্তিটি করোনা ভাইরাস সাসপেক্টেড ছিলেন। সকালে হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে ঢলে পড়লে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। আমরা ইসিজি করলে রিপোর্টে মৃত পাওয়া যায়।
অন্যদিকে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার উপসর্গ নিয়ে নমুনা দিতে এসে বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে কামরুন্নাহার (৪০) নামের এক নারী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তিনি পাশ্ববর্তী উপজেলা মতলব দক্ষিণের পদুয়া গ্রামের মো. আবদুর সাত্তারে স্ত্রী। কামরুন্নাহারের স্বামী আবদুর সাত্তার জানান, আমার স্ত্রীর আগেই হৃদরোগ ছিল। গত কয়েকদিন যাবৎ জ¦র, সর্দি-কাশি থাকায় তাকে করোনা পরীক্ষা করার জন্য কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তা ডা. সালাউদ্দীন মাহমুদ জানান, কামরুন্নাহার হৃদরোগ ও জ¦র, সর্দি কাশি থাকায় এবং অনেক দিন যাবৎ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় নমুনা দিতে এসে মৃত্যু বরণ করেন। তিনি অন্য কোন রোগে ভুগছিলেন কিনা জানা যায়নি। মৃত নারীর স্বজনেরা তার লাশ নিয়ে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করে।
আরও পড়ুন
খুলনা বিভাগে ভোক্তা-অধিকারের অভিযান : ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ২২ হাজার টাকা জরিমানা
খুবিতে ‘উচ্চ শিক্ষায় অ্যাক্রেডিটেশন’ বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালার উদ্বোধন
তালতলীতে ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা