জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে পৌর মেয়র ও কুলাউড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্য বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের স্টেশন চৌমুহনীতে কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সম্মুখে এ ঘটনাটি ঘটে। এ নিয়ে সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিপার উদ্দিন আহমদ এবং কুলাউড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোছাদ্দিক আহমদ নোমানের মধ্যে এ বাকবিতন্ডায় ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শহরের চৌমুহনীতে জেলা পরিষদের ভূমিতে কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের কার্যালয় ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আসন্ন দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে যানজট নিরসনে ও শহরের ফুটপাত দখল করে স্থাপিত বিভিন্ন অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুছ ছালেক,ওসি (তদন্ত) মো.আমিনুল ইসলামসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে শহরের বেশ কয়েকটি ফলের দোকান ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। স্টেশন চৌমুহনী এলাকায় সদর ইউনিয়নের সম্মুখে বাড়তি টিনের চালা ও ফলের দোকান অপসারণ করতে গেলে সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোছাদ্দিক আহমদ নোমান তখন মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদের কাছে জানতে চান পাশে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সম্মুখের অতিরিক্ত অংশ ও ফলের দোকান উচ্ছেদ না করে শুধু ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সম্মুখে কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এ সময় সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
কুলাউড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোছাদ্দিক আহমদ নোমান বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের সময় আমি পরিষদের ভেতরেই ছিলাম। আমাকে আগে বললে আমি পরিষদের টিনের বাড়তি অংশের স্থাপনা সরিয়ে দিতাম। অথচ, পৌর কর্তৃপক্ষ আমাকে বিষয়টি আগে জানান নি। এটা নিয়ে আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি। যানজট নিরসনে আমিও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পক্ষে। ইউনিয়নের বামে আওয়ামীলীগের অফিসের সামনে অতিরিক্ত স্থাপনা ও ফলের দোকান রয়েছে। কিন্তু সেখানে কোন অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।
কুলাউড়া পৌর মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ বলেন, যানজট নিরসনে আমরা সবসময় অভিযান পরিচালনা করে আসছি। তবে এবার আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে যানজট নিরসনে ও সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে আমরা উচ্ছেদ অভিযান করেছি। চোখের সামনে যতগুলো অবৈধ স্থাপনা পেয়েছি সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের সামনে হকাররা পরিষদের টিনের চালে বাড়তি টিন লাগিয়ে শহরের ড্রেনের ওপর ফলের দোকান বসিয়েছে সেটা আমরা উচ্ছেদ করেছি। আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সম্মুখে অতিরিক্ত অংশ বাদ রেখে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের সম্মুখে উচ্ছেদ অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একদিনে শতভাগ অভিযান শেষ করা সম্ভব হয়না। হয়তো এই অভিযানে দুই একটি স্থাপনা রয়েছে সেটাও ব্যতিক্রম থাকতে পারে। পরবর্তী অভিযানে সেটাও অপসারণ করা হবে বলে মন্তব্য করেন পৌর মেয়র।
আরও পড়ুন
দাগনভূঞায় দূর্গোৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে দুঃস্থ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে মেজবাহ্ সাঈদ
শেরপুর ও ময়মনসিংহে আকস্মিক বন্যা, তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম
ময়মনসিংহে মোবাইল বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু