নিজস্ব প্রতিবেদক:
যাত্রীদের নিরাপত্তায় বাসের ভেতরে বাসের নিবন্ধন নম্বর প্রদর্শনের দাবি জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ ও নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এক বিবৃতিতে সোমবার (১৭ অক্টোবর) বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে রাতের ফাঁকা বাসে চালক ও সহকারীরা অনেক সময় নারী যাত্রীদের ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ রাস্তায় ফেলে দেয়। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে ঝগড়া বাধিয়ে যাত্রীদের বাস থেকে ফেলে হত্যার ঘটনাও মাঝেমধ্যে ঘটছে। এ ছাড়া প্রায় প্রতিদিনই যাত্রীবাহী বাসের চালক-শ্রমিকরা নানা প্রকার অপরাধে জড়াচ্ছে। যাত্রীবাহী বাসের চালক-শ্রমিকরা মনে করে, একই কোম্পানির অনেক বাস থাকায় কোন বাসে তারা অপরাধ করছে এটা ভুক্তভোগী নির্দিষ্ট করে বলতে পারবে না। কারণ ভুক্তভোগী বা অন্য যাত্রীরা বাসের নম্বর জানে না। বাস্তবতা হলো, লোকাল বা সাধারণ মানের বাসে কাউন্টারভিত্তিক টিকিট থাকে না, থাকলেও টিকেটে বাসের নম্বর উল্লেখ থাকে না। তাছাড়া নম্বর প্লেট বাসের সামনে ও পেছনে থাকার কারণে যাত্রীরাও নম্বর দেখে বাসে ওঠে না। ফলে বাসের শ্রমিকরা একপ্রকার নিরাপত্তা বোধ করেই অপরাধে জড়ায়। যদিও অধিকাংশ অপরাধের পরে অপরাধীরা ধরা পড়ে। কিন্তু অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর ধরা পড়ে লাভ নেই। এ বাস্তবতায় বাসের ভেতরে যদি বাসের নিবন্ধন নম্বর বড় করে লেখা থাকে তাহলে যাত্রীরা নাম্বারটি তাদের পরিচিতদের কাছে মোবাইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে পারে। এতে বাসের চালক-শ্রমিকরা মনে করবে, তারা অপরাধ করে পার পাবে না। কারণ বাসের নম্বর যাত্রীরা আগেই পরিবার-পরিজনকে জানিয়ে দিয়েছে। অতএব তাদের দ্বারা কোনো যাত্রীর ক্ষতি হলে পুলিশ তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করবে। এ ভয়ে তারা বাসে কোনো ধরনের অপরাধ করতে সাহস পাবে না। এ বিবেচনায়, রোড সেফটি ফাউন্ডেশন মনে করে বাসের ভেতরে বাসের নিবন্ধন নম্বর প্রদর্শনই বাসে চালক-শ্রমিক কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ প্রতিরোধের সবচেয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ। তাই সংগঠনটি সব যাত্রীবাহী বাসের ভেতরে নিবন্ধন নম্বর প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে বিআরটিএ-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায়। একই সঙ্গে সংগঠনটি যানবাহনের মালিক ও শ্রমিকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোধ করেন।
আরও পড়ুন
শেরপুর ও ময়মনসিংহে আকস্মিক বন্যা, তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম
আরও বেড়েছে ডিমের দাম, সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী
ময়মনসিংহে মোবাইল বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু