অনলাইন ডেস্ক :
করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দেশে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে, যা আগামী বছর বেতন বাড়ার ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করতে পারে। এ বিষয়ে চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের ৩৭ শতাংশ দেশ কর্মীদের রিয়াল-টার্ম মজুরি বাড়াতে পারে। খবর ব্লুমবার্গের। কর্মশক্তি পরামর্শদাতা ইসিএ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, বেতন ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে ইউরোপ। যেখানে মূল বেতন কমছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি বছর খারাপ সময় পার করছে যুক্তরাজ্যের কর্মীরা। ২০০০ সালে জরিপ শুরু হওয়ার পর এটাই তাদের সবচেয়ে বেশি খারাপ সময়। দেশটিতে ৯ দশমিক ১ শতাংশ মূল্যস্ফীতির কারণে নোমিনাল বেতন ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়লেও রিয়াল-টার্ম বেতন কমেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। মনে করা হচ্ছে ২০২৩ সালে এখানে বেতন আরও ৪ শতাংশ কমতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে রিয়াল-টার্ম বেতন কমেছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে আগামী বছর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসলে বেতন ১ শতাংশ বাড়তে পারে। তবে ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ যে দশটি দেশ বেতন বাড়াতে পারে তার মধ্যে আটটিই এশিয়ার। এতে দেখা গেছে, রিয়েল বেতন ভারতে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৪ শতাংশ ও চীনে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়তে পারে। তাছাড়া ব্রাজিলে বেতন বাড়তে পারে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ ও সৌদি আরবে বাড়তে পারে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। ইসিএ ইন্টারন্যাশনালের এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. লি কোয়ান বলেন, জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে কর্মীদের জন্য একটি খারাপ সময় আসতে যাচ্ছে। কারণ মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দেশে বেতন বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যদিও ২০২২ সালে গড় বেতন কমেছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ইসিএ এর বেতন প্রবণতা জরিপটি ৬৪টি দেশ ও শহরের ৩৬০টিরও বেশি বহুজাতিক কোম্পানি থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
টিউলিপের বিকল্প খুঁজছে যুক্তরাজ্য সরকার
দাবানলে পুড়ছে হলিউড হিলস
তিব্বতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩