অনলাইন ডেস্ক :
কর্মবিরতি পালন করছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের কর্মীরা। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ২৪ ঘণ্টার এ কর্মসূচি দিয়েছেন তারা। খবর বিবিসির। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মবিরতিকে স্বভাবতই ভালোভাবে দেখছে না মালিকপক্ষ। নিউইয়র্ক টাইমস কর্তৃপক্ষ বলছে, কর্মীদের এমন সিদ্ধান্তে হতাশ। তবে পাঠকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংবাদ প্রকাশে বদ্ধপরিকর তারা। সংবাদকর্মীরা বলছেন, সংবাদ ব্যবসায় হয়তো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে তবে কর্মীদের বেতন কম দেয়ার মতো খারাপ অবস্থা এখনো আসেনি। নিউইয়র্ক টাইমসের ক্রীড়া প্রতিবেদক কেভিন ড্রেপার বলেন, যে কয়টি কাগজ সফল ও লাভজনক, আমরা তাদের অন্যতম। অথচ নতুন কাঠামোতেও আমাদের বেতন-ভাতা খুব একটা বাড়েনি। গত সপ্তাহে এক চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের ৩ শতাংশ হারে বেতন ও অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। পেনশন সুবিধা বাতিলের প্রস্তাব দেয়া হলে কর্মীরা রাজি হয়নি। তাদের মতে, যে হারে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে, বেতন সে হারে বাড়ানো হয়নি। পত্রিকার একজন জ্যেষ্ঠ সম্পাদক আন্দ্রেয়া জাগাতা বলছেন, এক বছরে শুধু বাসা ভাড়াই বেড়েছে আট শতাংশ। আর আমার বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। আমি কীভাবে সামলাব! প্রসঙ্গত, গুগলের মতো টেক জায়ান্টদের উত্থানের ফলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের হার কমে এসেছে। প্রিন্টের পাশাপাশি অনলাইনে সংবাদ জাতীয় কনটেন্টে বিজ্ঞাপন সীমিত হয়ে পড়েছে। এজন্য ২০১৭ সালে নিউইয়র্ক টাইমস বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। তারা শুধু গ্রাহকদের কাছ থেকে সাবস্ক্রিপশন ফি আদায় করত। এতে ব্যবসা আরো বেশি লাভজনক হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে টানা ধর্মঘটের মধ্যে রয়েছেন। গ্যানেট, ব্রডকাস্টার সিএনএন বা অনলাইন আউটলেট বাজফিডের মতো সংস্থাগুলো শতশত কর্মীকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে। তবে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, নিউইয়র্ক টাইমস আর্থিকভাবে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। তারা হয়তো কর্মীদের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে ভালো বোঝাপড়া করতে পারবে। নিউইয়র্ক টাইমস এর আগে ১৯৭০ এর দশকের এ ধরনের কর্মবিরতির মুখে পড়েছিল।
আরও পড়ুন
হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য