অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সোমবার বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে এলেন তাসকিন আহমেদ। পরে নেটে বোলিংও করলেন বেশ কিছুক্ষণ। তবে বাংলাদেশের এই ফাস্ট বোলার নিজেই জানিয়ে গেলেন, ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলা তার অনিশ্চিত এখনও। তার চোট, টেস্ট খেলার সম্ভাব্য ওয়ার্কলোড আর সার্বিক শারীরিক ধকল মিলিয়েই এই অনিশ্চয়তা। পিঠের চোটের কারণে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। শেষ ওয়ানডেতে চট্টগ্রামে মাঠে নামলেও নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন। তার বোলিংয়ে ছিল না স্বাভাবিক গতি, খুঁজে পাননি ছন্দ। ৯ ওভারে সেদিন হজম করেন ৮৯ রান। তার ক্যারিয়ারে যা সবচেয়ে খরুচে বোলিং। ওই ম্যাচের পর রোববার অনুশীলন ছিল না বাংলাদেশ দলের। সোমবার তিনি ঝাম ঝরান নেটে। তবে বড় দৈর্ঘের ক্রিকেটে দীর্ঘ বিরতির পর মাত্রই থেকে চোট থেকে ফিরে তাকে খেলানো হবে কি না, এটিই এখন বড় প্রশ্ন। সবশেষ ৮ মাসে লাল বলের ক্রিকেটে কোনো ম্যাচ তিনি খেলেননি। গত এপ্রিলের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট খেলার পর দেশের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজ ও গত জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনি ছিলেন না চোটের কারণে। এই লম্বা সময়ে প্রথম শ্রেণির কোনো ক্রিকেটেও কোনো ম্যাচ তার খেলা হয়নি। গত মাস চারেক তো ব্যস্ত ছিলেন মূলত টি-টোয়েন্টি নিয়েই। তার শরীর যতটা চোটপ্রবণ, তাতে হুট করেই বড় দৈর্ঘের ক্রিকেটে নামিয়ে দেওয়া হবে কি না, এটিই এখন দলের ভাবনার বিষয়। তাসকিন জানালেন, টেস্টের আগের দুই দিনের অনুশীলনের ওপর নির্ভর করবে তার খেলা বা না খেলা। “অলরেডি ম্যানেজেমন্ট ও দল আমার ওয়ার্কলোড বিল্ডআপ নিয়ে ভাবছে, যেহেতু কেবলই চোট থেকে এলাম। তাই ওয়ার্কলোড, ফিটনেস, বোলিং লোড সবকিছু বাড়ানো নিয়ে কাজ করছি। যদি এই ম্যাচের আগে লোড পূরণ হয়, সেক্ষেত্রে হয়তো যদি তারা মনে করেন, তাহলে আমি খেলব। যদি ওয়ার্কলোড পূরণ না হয়ে থাকে তাহলে এই টেস্টটা ম্যানেজমেন্ট আমাকে নাও খেলাতে পারে। হয়ত দ্বিতীয় টেস্ট লক্ষ্য বানাতে হবে।” “তো, এটা নিয়ে তারা এর মধ্যেই ভাবছে এবং আমার সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। আমার ওয়ার্কলোড পরিকল্পনা অলরেডি আমাকে দিয়েছে। ওটাই অনুসরণ করছি।” ২০১৭ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের বছরে ৫ টেস্ট খেলে তাসকিনের প্রাপ্তি ছিল সেফ ৭ উইকেট। তবে প্রায় সাড়ে তিন বছরের বিরতি শেষে গত বছরের এপ্রিলে টেস্টে ফেরার পর নতুন এই অধ্যায়ে ৬ টেস্টে তার শিকার ১৮টি। শুধু উইকেট শিকারেই নয়, গতি-আগ্রাসন-নিয়ন্ত্রণ-স্কিল, সব মিলিয়ে এই সময়ে তিনি হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের পেস আক্রমণের নেতা।
আরও পড়ুন
টেস্ট ক্রিকেট: মরণদশা থেকে বাঁচানোর উপায় কী
একটা ধাক্কায় কোহলির ৪ লাখ টাকা জরিমানা
মাশরাফি–সাকিব কি খেলবেন বিপিএলে?