অনলাইন ডেস্ক :
এক যুগ আগে বিপিএল মাঠে গড়ানোর পর ব্যাপক আলোড়ন হয়েছিল। দলের নিলাম, খেলোয়াড় নিলাম থেকে শুরু করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিপিএল বর্ণহীন হয়ে পড়েছে। এবার আরও হ-য-ব-র-ল অবস্থা। বুধবার তো বিপিএল আয়োজন নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন সাকিব আল হাসানও। বলেছেন, দুই মাস সময় পেলে বিপিএলকে বদলে দেবেন। এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেছেন, বিসিবির সীমাবদ্ধতা জানলে সাকিব এমন মন্তব্য করতো না। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারী) বিপিএলের স্পন্সর ঘোষণার দিন হাজির ছিলেন নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তার কাছে সাকিবের মন্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত নই যে তিনি কোন প্রেক্ষাপটে কথাটা বলেছেন বা কতটুকু তথ্য তার কাছে ছিল। আমাদের সীমাবদ্ধতা জানলে হয়তো এসব কথা তিনি বলতেন কী না আমার সন্দেহ। এর বাইরে কিছু বলা আসলে ঠিক হবে না।’ কোন সীমাবদ্ধতা? এমন প্রশ্নে সুজন বলেছেন, ‘সীমাবদ্ধতা তো সবার সমানে আপনাকে বিস্তারিত বলতে পারব না। ’ ২০১২ সাল থেকে বিপিএল আয়োজন হচ্ছে। প্রতি আসরেই নানা রকম বিতর্ক সঙ্গী হয়েছে। লম্বা সময় ধরে বিপিএল মাঠে গড়ালেও তেমন কোন প্রাপ্তি নেই বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের। প্রধান নির্বাহীর মতে প্রাপ্তি কেবল নিয়মিত আয়োজন, ‘নিয়মিত আয়োজন করতে পারছি, এটাতো একটা প্রাপ্তি। যেটা হয় যেসব খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিকে এখনো সুযোগ হয়নি, তারা একটা সুযোগ পায় আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করার।’ বিপিএলে প্রতি বছরই কোনো না কোনো বদল আসেই। থাকে না কোনো নিয়ম-নীতি। সবকিছুই হয় অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে। রেভিনিউ শেয়ারিং সিস্টেম তো অনেক দূরের কথা। আর্থিক ভিত্তি গড়ার কোনো সিস্টেম এখনও তৈরি করতে পারেনি বিসিবি। ফলে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান না হাওয়ায় দীর্ঘমেয়াদের জন্য পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করা যায় না। বিসিবি এটি স্বীকার করলেও তাদের নানাবিধ সীমাবদ্ধতার কথাই উঠে আসছে বার বার। গতকাল বৃহস্পতিবার নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও যে তাদের অবকাঠামো তৈরি করবে সে ধরনের সুযোগ সুবিধা হচ্ছে না। কারণ বিভিন্ন কারণে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় যেতে পারিনি। এখানে সীমাবদ্ধতা শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের না। বিশ্বব্যাপী কিছু বিষয় চলে আসছে, যেকারণে সীমাবদ্ধতা থাকছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে এরপর থেকে যেগুলো করা হবে, তার আগে ফ্র্যাঞ্চাইজি ঠিক করা থাকবে এবং আমাদের টাইমলাইনও দেওয়া থাকবে। যেহেতু আগামী ২০২৭ পর্যন্ত আমাদের আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার ঠিক করে ফেলেছি, আমাদের বিপিএলের তারিখ এবং এ বিষয়গুলোও ঠিক করে ফেলতে পারবো।’
আরও পড়ুন
মেসির দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
জয় দিয়ে টি–টুয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
তামিমের অর্ধশতকে দেড়শ’র আগেই থামল ঢাকা