জেলা প্রতিনিধি, ডামুড্যা (শরীয়তপুর) L
শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলায় ইসলাপুর ইউনিয়নের দাড়াশইকাটি গ্রামে ৩ ফসলি জমিতে মাছের ঘের করেছে এলাকার প্রভাবশালীরা। এতে আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে কৃষি আবাদী জমি। প্রভাবশালীরা আইনের তোয়াক্কা করছেনা। জমির মালিকরা ভয়ে মুখ খুলছেনা। তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এসব ঘের কাটার মালিকেরা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাই কৃষকরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও মিলছেনা কোন প্রতিকার। এতে ৩ ফসল ফলানো জমি কমে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২রা মার্চ ) সরজমিনে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের দাড়াইশকাটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় জোর পূর্বক মেস্তা বোনানো জমিতে এবং সরিষা বোনা জমিতে ভেক্যুদিয়ে নির্বিচারে চলছে মাটিকাটা। এভাবে ৩ ফসলি জমিতে মাটি কেটে মাছের ঘের করতে দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা বলে এই জমিতে আমরা ৩ ফসল ফলাই ধনিয়া, কলই, সরিষা। কৃষক মনির হোসেন বেপারী বলেন আমার জমিতে মেস্তা বুনেছি কিন্তু ভেক্যুটি আমার জমির মেস্তার উপর দিয়ে যাওয়ার কারণে আমি ডামুড্যা উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসে লিখিত অভিযোগ করি। তা শুনে মাছের ঘের ব্যবসায়ী জসিম মাদবর বলে তুই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছস। তোকে একদিন সময় দিলাম অভিযোগ উঠিয়ে আন তানাহলে তোর হাত পা ভেঙ্গে দিবো কো ধরবো তোকে। অভিযোগ উঠাইয়া আনেতে আমার দুই মিনিট লাগবে। দাড়াইশকাটি গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক বেপারী বলেন আমি এবার এই জমিতে সরিষা লাগিয়েছি, সরিষা পেয়েছি দশ মন এবং জমিতে এখন মেস্তা বোনা আছে। কৃষক সেলিম বেপারী বলেন আমার জমিতে মেস্তা বোনা আছে। ভেক্যুর মালিক নাসির বলেন আমাদেরকে দিনের বেলায় ভেক্যু বন্ধু রাখতে রাতের বেলায় ভেক্যু চালাতে। ইসলামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জসিম মাদবর বলে আমি ভেক্যুর কথা বলেছি জমিতে গেছে কিনা সেটা আমি জানিনা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিবা খান বলেন ৩ ফসলি জমিতে মাছের ঘের করেছে আমার কাছে একটি অভিযোগ এসেছে।
আরও পড়ুন
রংপুরে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষ্যে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
রংপুরে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলন
কোম্পানীগঞ্জে বাস চাপায় শ্রমিকের মৃত্যু,আহত ২