অনলাইন ডেস্ক :
চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই তাইওয়ানের রপ্তানি কমার খবর পাওয়া গেছে। মার্চে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির রপ্তানি কমেছে পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি। কারণ বিশ্বে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা দুর্বল রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাণিজ্যনির্ভর অঞ্চলটির রপ্তানি আরও কমতে পারে। খবর ব্লুমবার্গের। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) তাইওয়ানের অর্থমন্ত্রণালয় জানায়, এক বছর আগের চেয়ে গত মাসে রপ্তানি কমেছে ১৯ দশমিক ১ শতাংশ। এর আগে ব্লুমবার্গের এক জরিপে জানানো হয়েছিল তাইওয়ানের রপ্তানি কমতে পারে ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ। তাছাড়া ফেব্রুয়ারিতে স্ব-শাসিত অঞ্চলটির রপ্তানি কমে ১৭ দশমিক ১ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে তাইওয়ানের আমদানি কমেছে ২০ দশমিক ১ শতাংশ, যা পূর্বাভাস ১১ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে অনেক বেশি। তবে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে চার দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার। এ নিয়ে সাত মাসের মতো তাইওয়ানের রপ্তানিতে পতন দেখা গেলো। এর অন্যতম কারণ হলো বিশ্বজুড়ে সুদের উচ্চ হার, মূল্যস্ফীতি ও চলমান ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সংকট। তবে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে যে পতন দেখা গেছে, তা জানুয়ারির ২১ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কম। এদিকে তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সব টার্গেটে হামলা ও দ্বীপটিকে ঘিরে ফেলার মহড়া চালিয়েছে চীন। তাইওয়ান ঘিরে বেইজিংয়ের তিন দিনব্যাপী এ সামরিক মহড়া শেষ হয়েছে সোমবার। এটিকে তাইওয়ানিজদের জন্য কড়া হুঁশিয়ারি বলে উল্লেখ করেছে চীন। গত সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফরের জবাবে এই মহড়া চালিয়েছে তারা। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, এই মহড়ায় চীনা সামরিক বাহিনীর দূরপাল্লার রকেট, নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজ, বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমান, জ্যামারসহ আরও অনেক অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
গাজা যুদ্ধে ইসরাইলি সেনা নিহত বেড়ে ৮০০
নামছে সেনা, ফিরছে ২২৫ বছর পুরনো ‘ভিনগ্রহী আইন’
আমেরিকার অস্ত্রে হামলা, চটে লাল পুতিন