জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর (শ্রীবরদী):
শেরপুরের শ্রীবরদীতে সেতু না থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পথচারী ও এলাকাবাসীদের পোহাতে হচ্ছে দূর্ভোগ। উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বালিজুরী গ্রামের পাহাড়ী নদী সোমেশ্বরীর উপর দীর্ঘদিন আগে এলাকাবাসীরা নিজস্ব উদ্যোগে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। খাড়ামোরা, পূর্ব-পশ্চিম খাড়ামোড়া, রাঙ্গাজান, কোঁচপাড়া সহ ৫টি গ্রামের লোকজনের উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিলো এই সাঁকো। কয়েকদিন আগে পাহাড়ী ঢলের কারণে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যহত হচ্ছে। এই নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবী বাস্তবায়নে অপক্ষের প্রহর গুনছে এলাকার জনগণ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঝরনা ধারার সোমেশ্বরী নদীটি বালিজুরি হয়ে শ্রীবরদীতে প্রবেশ করেছে। নদীটি উপজেলার সাথে খাড়ামোরা, পশ্চিম ও পূর্ব খাড়ামোরা, রাঙ্গাজান, কোঁচপাড়া সহ ৫টি গ্রামকে আলাদা করে দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে পানি কম থাকলে ওই গ্রামগুলোর মানুষজন পায়ে হেটে পারাপার হয়। কিন্তু হঠাৎ ভারী বর্ষণ ও বর্ষায় পাহাড়ী ঢল নেমে নদীর পানি বৃদ্ধি হলে উপজেলার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় নদীর ওপারের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত। তাই নির্বিঘ্নে যাতায়াত ও উৎপাদিত ধান, সবজি সহ অন্যান্য ফসলাাদি বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। কিন্তু সম্প্রতি সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পথচারী সহ এলাকাবাসীরা। জীবন-জীবিকা, ব্যবসা-বাণিজ্যর প্রয়োজনে কার্জকর্মের সরঞ্জাম ও কৃষিপণ্যসহ নানা ধরনের মালামাল পরিবহনে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদেরকে। এই নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ হলে ৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
স্থানীয় রফিকুল, কাওছার, সোহাগ, লায়েছ হাছান, হান্নান, লাতা রানী সহ অনেকেই বলেন, ২০-২৫ বছর যাবত শুনতেছি এখানে একটি সেতু হইবো। সবাই এসে আশ্বাস দেয়। কিন্তু বাস্তবে পরিণত হয় না। জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের আগে কথা দেয়। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর আর খোঁজ রাখে না। পাহাড়ী জনগণের কষ্ট কেউ বুঝে না। খাড়ামোরা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুল বারেক বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে শিক্ষক-শিক্ষকদের মাদরাসায় পৌঁছাতে অনেক কষ্ট হয়। তাই এখানে একটি সেতু খুব প্রয়োজন।
উপজেলা প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে সোমেশ্বরী নদীর ওই জায়গায় ১৬০ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু শেরপুর জেলায় এই দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের কোন প্রকল্প নেই। তাই প্রকল্প না থাকায় অনুমোদনের অভাবে ওই নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন
আওয়ামী লীগ দেশের ওলামাদের নিয়ে তাচ্ছিল্য করেছে —রংপুরে শামসুজ্জামান দুদ
রংপুরে এক্্র ক্যাডেটস্্ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
কোম্পানীগঞ্জে অস্ত্রসহ ব্যবসায়ীকে আটক করলো সেনাবাহীনী