অনলাইন ডেস্ক :
আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। তবে অনুসন্ধান স্থানে বৃহস্পতিবার ফরাসি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইফ্রিমারের দ্য ভিক্টর ৬০০০ রোবট সাবমেরিন পৌঁছেছে। স্থল থেকে নিয়ন্ত্রিত এই সাবমেরিনটি সাগরের পৃষ্ঠতলে যেতে সক্ষম। বিবিসি জানিয়েছে, চার ঘণ্টার শিফটে কাজ করে দুই পাইলটের একটি দল সাগরের উপরিভাগে থাকা আটলান্টি জাহাজ থেকে এর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করবেন। কন্ট্রোল রুমে একজন তৃতীয় ব্যক্তিও থাকবেন যারা মিশনে সাহায্য করবেন। তারা কানাডিয়ান কোস্টগার্ড বা নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের পরিচালনাকারী সংস্থার হতে পারে। ভিক্টর ৬০০০- এর বোর্ডে থাকা লাইট এবং ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে পাইলটরা সমুদ্রের তলদেশে কী আছে তা একেবারে স্বচ্ছভাবে দেখতে পাবেন।
ফরাসি এই সাবমার্সিবলের দুটি যন্ত্র রয়েছে যেগুলো অত্যন্ত সূক্ষ্ম কৌশল ধ্বংসাবশেষ কাটা বা অপসারণ করতে সক্ষম। অনুসন্ধানের কাজে যোগ দিয়েছে, বিমান, জাহাজ সেই সঙ্গে দূরবর্তী সমুদ্রে চালিত যানগুলো। প্রায় ১০ হাজার বর্গমাইল সমুদ্রজুড়ে খোঁজা হচ্ছে ডুবোযানটিকে। অনুসন্ধানে নতুন আওয়াজও শোনা যাচ্ছে, তবে সেগুলো কোথা থেকে আসছে তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে ইউএস কোস্ট গার্ড। ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরের মধ্যেই নিখোঁজ সেই সাবমেরিনের মজুদ অক্সিজেন শেষ হয়ে যাবে।
পূর্ববর্তী অনুমানের ওপর ভিত্তি করে ১০ ঘণ্টারও কম অক্সিজেন অবশিষ্ট ছিল বলে ধারণা করা হয়েছিল। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলরক্ষী বাহিনী টুইট করে জানিয়েছিল, গত মঙ্গলবার রাতে পানির নিচে শব্দ শোনা গেছে। কানাডার একটি পি-৩ বিমান অনুসন্ধান এলাকায় সাগরের পানিতে বিশেষ যন্ত্র নিক্ষেপ করে ওই শব্দ শনাক্ত করেছে। সিএনএন ও রোলিং স্টোন সাময়িকী পৃথকভাবে জানায়, কয়েক ঘণ্টা ধরে আধা ঘণ্টা পর পর শব্দটি শোনা যায়। সাধারণত এভাবে বিপৎসংকেত দেওয়া হয়। মার্কিন কোস্ট গার্ড বাহিনীর কমান্ডার বলেছেন, ডুবোযানের ভেতরের অক্সিজেন ঠিক কখন শেষ হবে তা নির্ভর করবে কতটা অক্সিজেন ব্যবহৃত হচ্ছে তার ওপর। টাইটানের কোনো পাইপে যেকোনো মুহূর্তে ফাটল ধরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : বিবিসি
আরও পড়ুন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছেই, একদিনে নিহত ৫৮