অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে তথ্য দিয়েছে দেশটির সরকার। গত বৃহস্পতিবার লোকসভায় জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালে ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা হতে পারে ১৯ দশমিক ৭ কোটি। তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মালা রায়ের প্রশ্নের উত্তরে সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছেন, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, মুসলমানরা মোট জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২৩ সালে তাদের জনসংখ্যার হার একই রকম হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। স্মৃতি ইরানি বলেন, ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১৭ দশমিক ২ কোটি। তাছাড়া ২০২৩ সালে দেশটির মোট জনসংখ্যা দাঁড়াতে পারে প্রায় ১৩৯ কোটিতে। জাতিসংঘের হিসাবে এ বছরের মাঝামাঝি চীনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশ হওয়ার কথা ভারতের। কিন্তু কিছু বিশ্লেষকের ধারণা, সেই ঘটনা আগেই ঘটে গেছে।
এ বছরের শুরুতে চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস) জানায়, ২০২২ সালের শেষে দেশটির জনসংখ্যা প্রায় আট লাখ কমে ১৪১ কোটি ২০ লাখে দাঁড়িয়েছে। ১৯৬১ সালের পর এই প্রথমবার চীনের জনসংখ্যা কমেছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হতে চলেছে ভারত। দেশটির অর্ধেক মানুষের বয়সই ৩০ বছরের কম। ফলে জনসংখ্যার সর্বোচ্চ ফায়দা পেতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রতি বছর শ্রমশক্তিতে প্রবেশ করা লাখ লাখ লোকের জন্য বাড়তি চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া দেশটি ক্রমেই কৃষিনির্ভরতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন
হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য