পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধরসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দেন। একই সঙ্গে জামিনে থাকা নিখিল রঞ্জনধরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন- প্রশ্নপত্র ফাঁসের হোতা আহ্ছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল, অফিস সহায়ক (পিয়ন) দেলোয়ার হোসেন, কর্মী রবিউল আউয়াল, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল, রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে-আলম মিলন, পূবালী ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জাবের ওরফে জাহিদ, পারভেজ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মোবিন উদ্দিন, সোহেল রানা, পরীক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম স্বপন, রাশেদ আহমেদ বাবলু, জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ ও রবিউল ইসলাম রবি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর দুপুর ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন।
বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার পর চাকরি প্রত্যাশীদের অনেকেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তোলেন।
এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর তেজগাঁও জোনাল টিমের উপপরিদর্শক সুকান্ত বিশ্বাস বাড্ডা থানায় মামলা করেন।
এর আগে, গত বছরের ১০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের উপপরিদর্শক শামীম আহমেদ অধ্যাপক নিখিলকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোপত্র দাখিল করেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
জালিয়াতি করে মাই টিভি-জমি-বাড়ি দখলে নেন আফ্রিদির বাবা সাথী
এনএসআইয়ে এখনো প্রভাবশালী অবস্থানে হাসিনার মামাতো ভাই
সেনাবাহিনীর পিকআপে ট্রাকের ধাক্কা, ৮ সেনাসদস্য আহত