October 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, August 2nd, 2023, 8:08 pm

যে কারণে কাতার যাচ্ছেন সাইফ

অনলাইন ডেস্ক :

দীর্ঘ দিন ধরে পিঠের সমস্যায় ভুগছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। বারবার ফিরে আসা এই চোটের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কাতার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। একই কারণে কাতারে যাচ্ছেন আরেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার অভিষেক দাস ও তরুণ পেসার আশিকুর জামানও। সব কিছু ঠিক থাকলে শনিবার কাতারে যাবেন সাইফ, অভিষেক ও আশিকুর। বিসিবির চিকিৎসা বিভাগ থেকে জানা গেছে, দোহার স্পোর্টস মেডিসিনের বিশেষায়িত একটি হাসপাতালে হবে তাদের চিকিৎসা। সাইফের মতোই পিঠের চোটে জর্জরিত ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য অভিষেক। যুব বিশ্বকাপের পরের আসরে খেলা দীর্ঘদেহী পেসার আশিকুরের সমস্যা কুচকিতে। পিঠের চোটের সমস্যা বারবার ফিরে ফিরে এলেও খেলার মধ্যেই ছিলেন সাইফ। সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর শিরোপা জয়ের অভিযানে ১২টি ম্যাচ খেলেন ২৬ বছর বয়সী পেস অলরাউন্ডার।

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে লিগের অলিখিত ফাইনাল ম্যাচে বোলিংয়ের সময় বাজেভাবে পিচের ওপর পড়ে যান তিনি। ফলে শেষ করতে পারেননি কোটার পুরো ওভার। এরপর স্বীকৃত ক্রিকেট কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি সাইফের। বাংলাদেশের হয়ে ২৯ ওয়ানডে ও ৩৪ টি-টোয়েন্টি খেলা এই অলরাউন্ডারকে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা গেছে গত অক্টোবরে নিউ জিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। আশিকুর সবশেষ খেলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে। চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে গত জানুয়ারিতে দুটি ম্যাচে মাঠে নামেন তিনি। এরপর থেকেই চোট বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। গত মে মাসে এবারের হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল ২০ বছর বয়সী পেসারকে।

শুরুর দিকে বিসিবি একাডেমিতে বাকিদের সঙ্গে থেকেই হালকা রানিং ও ফিটনেসের কাজ করেন তিনি। কিন্তু চোট থেকে মুক্তি না পাওয়ায় আর ক্যাম্পে থাকা হয়নি তরুণ পেসারের। অভিষেকের সমস্যা অবশ্য বেশ পুরোনো। ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপ খেলে আসার পর ওই বছর ওল্ড ডিওইএইচএসের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে পেশাদার ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ১৪ রান ও ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরাও হন ২২ বছর বয়সী পেসার। ওই ম্যাচের পর পিঠের চোটে পড়ে আর কোনো স্বীকৃত ম্যাচই খেলা হয়নি অভিষেকের।

গত ৩ বছরে তার এই চোটের জন্য নানান ধরনের চিকিৎসাই চেষ্টা করে দেখেছে বিসিবি। কিন্তু এই চোটের ধরনই ঠিকঠাক ধরতে পারা যায়নি। বোলিং করার সময় বেশি সমস্যা অনুভূত হয় তরুণ এই পেসারের। তাই মাঠে ফেরার তীব্র বাসনা থেকে গত বছর প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন তিনি। বেশ কিছু ম্যাচে ক্যামিও ইনিংসও আসে তার ব্যাট থেকে। কিন্তু স্বীকৃত ক্রিকেটে ফেরার মতো অবস্থায় তিনি পৌঁছতে পারেননি। এবার নতুন করে আরেক দফায় শুরু হবে তার মাঠে ফেরার লড়াই।