October 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, August 21st, 2023, 8:24 pm

অনুশীলনে ফিরলেন তামিম

অনলাইন ডেস্ক :

গেল জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচের পর থেকে মাঠের বাইরে তামিম ইকবাল। এর মধ্যে হয়ে গিয়েছে অনেক কিছু। অবসর এরপর প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ফিরে আসা, চিকিৎসার জন্য ছুটি পাওয়া। সব কিছু মিলিয়ে দেড় মাসের মতো অনুশীলনে নেই টাইগার সাবেক অধিনায়ক। অবশেষে ফিরেছেন গত রোববার। দুই ফিজিওর তত্ত্বাবধানে তাকে দেখা গেছে ১৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে ব্যাটিং অনুশীলন করতেও। লন্ডন থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরার পর গত প্রায় দুই সপ্তাহ স্রেফ শারীরিক কসরত করেছেন তামিম। এরপর রোববার দুপুরে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠের নেটে ব্যাটিং করতে দেখা যায় তাকে।

আর বাহাতি ওপেনারের ওপর ব্যাটিং করার সময় পেছন থেকে পুরোটা সময়ই নজর রেখেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুই ফিজিও কিরন থমস ও বায়েজিদ ইসলাম। গেল বছরের ডিসেম্বর মাসে ভারত সিরিজ থেকেই পিঠের ব্যথায় ভুগছিলেন তামিম। এই কারণে দলের সঙ্গে অনুশীলনে বেশির ভাগ সময়ই কমরে হাত দিয়ে তাকে বসে পড়তে বা দাঁড়িয়ে পড়তে দেখা যেত। তবে গত রোববারের অনুশীলনে এমনটি দেখা যায়নি। খুব আরামসেই ব্যাট হাতে নেটে অনুশীলন করেছেন। এদিন প্রথম দিকে থ্রোয়ার বল ছুঁড়েছেন খালি হাতে কিছুটা ধীরগতিতে। তামিমও রক্ষণাত্মকভাবে খেলতে থাকেন। এভাবে শুরুর পর থ্রোয়ারও বলের গতি কিছুটা বাড়ান।

তামিমও আরেকটু স্টান্স বাড়িয়ে খেলার চেষ্টা করেন। শেষ দিকে জায়গা থেকে সরে ফ্রন্ট ফুট-ব্যাকফুটে খেলার চেষ্টা করেছেন। ব্যাটিংয়ের মাঝে কোমর-পিঠে হাত দিয়ে ফিজিওদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল তামিমকে। পরে নেট থেকে বেড়িয়ে মূল মাঠে ফিরে তামিম ইকবাল রানিং করেন কিছুক্ষণ এই সময়ও ফিজিওরা তার সঙ্গে ছিলেন। এর আগে সবশেষ গত ৫ জুলাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং করেছিলেন তামিম। পরদিনই আচমকা বিদায় জানান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবসর ভেঙে আবার ফেরেন ক্রিকেটে। এরপর কিছুদিনের ছুটি শেষে গত মাসের দিকে লন্ডনে যান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে। সেখানে লাম্বার ফোর ও ফাইভে দুটি ইনজেকশন নিয়ে ব্যথা দমিয়ে রেখেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। এ ধরনের ইনজেকশনের কার্যকারিতা ২-৩ মাস থেকে ৪-৫ মাস পর্যন্ত থাকে। কিছু ক্ষেত্রে এক মাসের মধ্যেও ব্যথা অনুভব হতে পারে।