অনলাইন ডেস্ক :
টানা বৃষ্টিতে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা ও পদ্মার পানি বাড়ায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ভাঙনে সর্বস্ব হারাচ্ছে মানুষ।
ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী, উলিপুর, রৌমারী, রাজিবপুর ও সদর উপজেলায় বন্যার অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বেড়ে চার উপজেলার প্রায় ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনা তীরবর্তী সিরাজগঞ্জ সদর , কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালি এই ৫ উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তা ঘাট, ঘড়, বাড়ি, টিউবওয়েল ও বাথরুম।
বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে বঁধের উপর খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়া নৌকা নিয়ে নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে বন্যাকবলিতদের। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব। তবে এখনো সরকারি ভাবে ত্রান না পাওয়ার অভিযোগ বন্যা কবলিতদের।
টাঙ্গাইলের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় দেড় লাখ মানুষ বন্যা কবলিত। ভাঙন দেখা দেয়ায় হুমকিতে পড়েছে টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধ। ফরিদপুরে পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ, গড়াই ও মধুমতি তীরের ৬টি উপজেলার দেড় শতাধিক গ্রামে পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ।
আরও পড়ুন
৪ দাবিতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে উর্দুভাষীরা
শীতে রোগমুক্ত জীবন পেতে সাহায্য করবে যেসব ভেষজ
অন্যতম দর্শনীয় স্থান মহামায়া লেক