October 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, September 3rd, 2023, 9:05 pm

মদ বিক্রি করে এক বছরে আয় ৭ হাজার কোটি রুপি

অনলাইন ডেস্ক :

গত এক বছরে ৬১ কোটি বোতল মদ বিক্রি করেছে ভারতের দিল্লি সরকার। আয়ও হয়েছে বিপুল। দিল্লিতে আম আদমি পার্টি (আপ) সরকারের আবগারি নীতি নিয়ে বিতর্কের মাঝে এ পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এসেছে গত শনিবার। জানা গেছে, এক বছরে মদ বিক্রি করে সাত হাজার কোটি রুপির বেশি আয় হয়েছে আপ সরকারের। দিল্লিতে বর্তমান আবগারি নীতি কার্যকর হয়েছে ২০২২ সালের গত শুক্রবার থেকে। ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মদ থেকে দিল্লি সরকার মোট সাত হাজার ২৮৫ কোটি রুপি রাজস্ব বাবদ আদায় করেছে। এর মধ্যে ভ্যাট রয়েছে দুই হাজার ১৩ কোটি রুপি।

২০২১-২২ সালের জন্য যে নতুন আবগারি নীতি পরিকল্পনা করেছিল আপ সরকার, তা প্রয়োগ করলে এই এক বছর মদ থেকে পাঁচ হাজার ৪৮৭ কোটি রুপি রাজস্ব পাওয়া যেত বলে খবর আবগারি দপ্তর সূত্রে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের সরকারের নতুন আবগারি নীতিতে রাজধানীর মদ কেনাবেচার পদ্ধতিতে বদল আনা হয়েছিল। ওই নীতিতে সরকারি মদের দোকানগুলো বন্ধ করে বেসরকারি মদের দোকানগুলোকে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়। কেজরিওয়াল সরকার চেয়েছিল, নতুন করে ৮৪৯টি মদের দোকান খোলা হবে। রাজধানীর ৩২টি অঞ্চলে এই মদের দোকান খোলার পরিকল্পনা ছিল। নতুন আবগারি নীতিতে মদের কালোবাজারি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়বে বলেও দাবি করেছিল সরকার। আগে দিল্লিতে মোট ৮৬৪টি মদের দোকান ছিল। চারটি সরকারি সংস্থা ৪৭৫টি মদের দোকান চালাত। বাকি ৩৮৯টি বেসরকারি সংস্থার মালিকদের হাতে ছিল।

এই নীতি কার্যকর করতে আবগারি লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম, এমনকি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে। যার জেরে নতুন আবগারি নীতি চালুর ঠিক আট মাস পর, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। দাবি করা হয়, নতুন নীতিতে পদ্ধতিগত কিছু সমস্যা রয়েছে। নতুন ৬৪৪টি মদের দোকান খোলা হলেও শেষমেশ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে না পেরে লাইসেন্স ফিরিয়ে দিতে শুরু করেন। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সরকার পুরনো আবগারি নীতিতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লির আবগারি দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। তাকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তর করে সিবিআই। আরো অনেকেই গ্রেপ্তার হন। এমনকি দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে তথা রাজ্যের দাপুটে নেত্রী কে কবিতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা