ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ছাগলনাইয়া থানাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটলেও শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে শ্রমিকরা কাজের পর বাসায় না ফেরায় তাদের পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ দেখতে পায় স্বজনরা।
নিহতরা হলেন- মাইন উদ্দিন (২৫), বিকাশ চন্দ্র দাস (৩৫)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুই মাস আগে ওই এলাকার শহিদুলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ছাদ ঢালাই দেওয়া হয়। শুক্রবার ওই সেপটিক ট্যাংকের ভেতরের বাঁশ কাঠসহ নির্মাণসামগ্রী খুলতে নামেন আকাশ ও মাইন উদ্দিন।
এরপর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
শ্রমিকদের স্বজনরা ঠিকাদারকে বিষয়টি জানায়। পরে শনিবার সকালে ঠিকাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে জানায়।
খবর পেয়ে ছাগলনাইয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ছাগলনাইয়া ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মিরাজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেপটিক ট্যাংকের ভেতর জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. ওয়ালী উল্লাহ জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি একজন শ্রমিক সেন্টারিং খোলার জন্য নিচে নামলে সেখানে গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আরেকজন শ্রমিক তাকে উদ্ধার করার জন্য নামলেই সেও গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে সেখানে থাকা পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে।
তিনি আরও জানান, তারপরেও আমরা পুরো বিষয়টিকে তদন্ত করছি। পাশাপাশি ময়না তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনাটি উদঘাটন করা হবে।
তিনি বলেন, সেফটি ট্যাংক ভেঙে লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
শেরপুর ও ময়মনসিংহে আকস্মিক বন্যা, তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম
আরও বেড়েছে ডিমের দাম, সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী
ময়মনসিংহে মোবাইল বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু