অনলাইন ডেস্ক :
বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কবি আসাদ চৌধুরী আর নেই। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) কানাডার টরোন্টোতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) কানাডার টরন্টোর স্থানীয় একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার জামাতা নাদিম ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আসাদ চৌধুরী বেশ কয়েক বছর ধরেই কানাডায় ছেলে ও মেয়ের সাথে ছিলেন। তিনি গত বছর নভেম্বর থেকে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
তার চৌধুরীর মরদেহ দেশে আনা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। নাদিম ইকবাল বলেন, ” আমাদের ইচ্ছা কানাডাতেই দাফন করার। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরিবারের সবার সাথে বলে নেব।”
১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন আসাদ চৌধুরী। আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা এবং বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে কলেজের শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে আসাদ চৌধুরীর চাকরিজীবন শুরু। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে ১৯৬৪-১৯৭২ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন তিনি।
আসাদ চৌধুরী পরে থিতু হন ঢাকায়, সে সময় বিভিন্ন সংবাদপত্রে তিনি সাংবদিকতাও করেন। দীর্ঘদিন বাংলা একাডেমিতে চাকরি করার পর তিনি পরিচালক হিসেবে অবসরে যান।
তবক দেওয়া পান, জলের মধ্যে লেখাজোখা, মেঘের জুলুম পাখির জুলুম, আমার কবিতা, ভালোবাসার কবিতা, প্রেমের কবিতা, নদীও বিবস্ত্র হয়, বাতাস যেমন পরিচিত, বৃন্তির সংবাদে আমি কেউ নই, কিছু ফল আমি নিভিয়ে দিয়েছি, ঘরে ফেরা সোজা নয় তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।
এছাড়া প্রবন্ধ সঙ্কলন কোন অলকার ফুল, জীবনীগ্রন্থ সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু, রজনীকান্ত সেন, স্মৃতিসত্তায় যুগলবন্দী এবং ইতিহাস গ্রন্থ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তার গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক পান আসাদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন
শেরপুর ও ময়মনসিংহে আকস্মিক বন্যা, তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম
আরও বেড়েছে ডিমের দাম, সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী
ময়মনসিংহে মোবাইল বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু