অনলাইন ডেস্ক :
ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ ডোমিনিকান রিপাবলিকে ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আছেন চার মার্কিন নাগরিকও। এ ছাড়া এতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ভারী বর্ষণের পর ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গত রোববার দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবারের ভারি বৃষ্টিতে দেখা দেওয়া বন্যায় ঘরবাড়ি ডুবে যায়, সেতু ও সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বহু এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। দেশটির ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (সিওই) জানিয়েছে, ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এলাকায় চলে গেছে। পুলিশ জানায়, গত শনিবার প্রবল বৃষ্টির মধ্যে একটি মহাসড়ক টানেলের দেয়াল ধসে কয়েকটি গাড়ির ওপর পড়ে নয়জনের মৃত্যু হয়। রাজধানী সান্তো ডমিঙ্গোর এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
সিওই জানিয়েছে, মোট ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে আর তাদের মধ্যে তিন শিশু রয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে চারজন মার্কিন নাগরিক এবং তিনজন প্রতিবেশী হাইতির নাগরিক রয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে আসা ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, রাস্তা দিয়ে দ্রুত বেগে বয়ে যাওয়া পানি বহু গাড়ি ভাসিয়ে নিচ্ছে, ভবনগুলো নিচ তলা ডুবে আছে। বিবিসি জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হওয়ার পর ডমিনিকার প্রেসিডেন্ট লুইস আবিনাদের এটিকে দেশের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড় বৃষ্টিপাতের ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছেন।
ডমিনিকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গত বুধবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝড় ও বৃষ্টিতে ২ হাজার ৬০০টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। গত রোববার বিকেল পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত এলাকা যোগাযোগবিহীন ছিল। গ্রীষ্মমন্ডলীয় নিম্নচাপের ফলে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিপাত আরও দুই-একদিন অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে দেশটির ৩২টি প্রদেশের অধিকাংশই লাল এবং হলুদ আবহাওয়া সতর্কতার অধীনে রয়েছে।
আরও পড়ুন
লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলের ঘটনায় সম্ভাব্য কারণগুলো খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা
টিউলিপের বিকল্প খুঁজছে যুক্তরাজ্য সরকার
দাবানলে পুড়ছে হলিউড হিলস