অনলাইন ডেস্ক :
লিবিয়া থেকে ইতালিতে যাওয়ার পথে সাত বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনায় ও মানব পাচারের অভিযোগে এক মিসরীয় নাগরিককে শনিবার গ্রেফতার করেছে ইতালি পুলিশ। এর দুই সপ্তাহ আগে মানব পাচারের অভিযোগে দুই বাংলাদেশিকে ২০ বছর করে কারাদ- দেয় দেশটির সরকার। গত ২৫ জানুয়ারি লিবিয়া থেকে সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার সময় ঠান্ডায় মারা যান সাত বাংলাদেশি। দেশটিতে সমুদ্রপথে এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশে যেসব মানব পাচারকারী সক্রিয় তাদের মধ্যে আছে বাংলাদেশি, মিসরীয়, লিবীয় ও তিউনিসিয়ার নাগরিকরা। ইতালির পুলিশ সাত বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনায় গত শনিবার এক মিসরীয় নাগরিককে গ্রেফতার করে। পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনার ঘটনায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এর মধ্য দিয়ে মানব পাচার অনেকাংশ কমে আসবে বলে আশা তাদের। সাম্প্রতিককালে লিবিয়া থেকে ইতালি প্রবেশকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থান প্রথম সারিতে। অন্যান্য বছর শীতের সময় মানব পাচার কমে গেলেও এ বছর তা বেড়ে গেছে। জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা আইওএমের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ৪৮ দিনে সমুদ্রপথে সাড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছে। এ সময় মারা গেছেন ২২৯ জন। যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ার অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগে একশ্রেণির দালাল ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে মানব পাচারে বেছে নিচ্ছেন সমুদ্রপথকে। এতে অকালে সমুদ্রে ডুবে প্রাণ হারান অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী। মানব পাচারকারীদের ধরতে নানা কৌশল গ্রহণ করছে ইতালি সরকার।
আরও পড়ুন
কার দিকে, কেন তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম
২২০ চলচ্চিত্র নিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
রংপুরে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষ্যে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন