নিজস্ব প্রতিবেদক:
খরায় পুড়ছে বরেন্দ্র অঞ্চল। কয়েকদিন ধরেই ওই অঞ্চলে খরতাপ বিরাজ করছে। তীব্র গরমে জনজীবন হাঁসফাঁস করছে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই করছে। পুরো বরেন্দ্র অঞ্চলই খরায় পুড়ছে। বৃষ্টিহীনতায় বিঘ্নিত হচ্ছে আমন রোপণ। পানির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে আউশ ধানের জমি। আবহাওয়া অফিস সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্ষার প্রথম মাস আষাঢ়ে রাজশাহীতে বিক্ষিপ্তভাবে এবং কিছু সময়ের জন্য মাত্র ৮ দিন বৃষ্টি হয়েছে। তার মধ্যে ১৮ জুন সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ৯ জুন রাজশাহীতে ৯ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বাকি দিনগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ ৩ দশমিক ৬ মিলিমিটারের ওপরে ওঠেনি। শুধু যে বৃষ্টির পরিমাণ কম তা-ই নয়, আষাঢ়ের প্রকৃতি চৈত্রের তাপদাহে পুড়ছে। টানা তাপপ্রবাহে স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও ব্যাহত হচ্ছে। সূত্র জানায়, আষাঢ়ে কাক্সিক্ষত বৃষ্টি না হওয়ায় বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষিতে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। তীব্র তাপদাহে আউশ ধান যেমন জমিতে শুকাচ্ছে, তেমনি আমনের বীজতলাসহ অর্থকরী ফসল কপি ও অন্যসব সবজির বীজতলাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গরমে অনেক বীজতলার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। আর বৃষ্টির অভাবে বরেন্দ্র অঞ্চলের কোথাও আমন আবাদ শুরুই হয়নি। এদিকে এ প্রসঙ্গে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক গাউসুজ্জামান জানান, আগের বছরগুলোর তুলনায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক কমে গেছে। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমন হচ্ছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে যে পরিমাণ গাছ লাগানো হচ্ছে তার চেয়ে বেশি কাটা হচ্ছে। পাশাপাশি নদীর নাব্যও কমে গেছে। সব মিলিয়ে জলবায়ুর ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা বাড়ছে।
আরও পড়ুন
চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়ার দিনে সৃষ্ট যানজটে বিএনপির দুঃখ প্রকাশ
মাসুদা ভাট্টির বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের প্রতিবেদন
রংপুরে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষ্যে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন