ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন তিনি।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বী মৃত্যুকালে তিন মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আনোয়ারা রাব্বি ২০২০ সালের মে মাসে মারা যান।
ডেপুটি স্পিকারের এপিএসের বরাত দিয়ে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেলের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল নাজমুল হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নিউইয়র্কে তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’
তার মরদেহ দেশে আনতে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে বলেও জানান তিনি।
নাজমুল বলেন, তারা আশা করছেন আগামীকাল দুপুরের মধ্যে সব কাগজপত্র প্রস্তুত হয়ে যাবে এবং সন্ধ্যায় ফ্লাইট পাবেন।
তিনি একজন স্বনামধন্য সংগঠক ছিলেন এবং বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে অনেক অবদান রেখেছেন।
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী ১৯৪৬ সালের ১৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৯ থেকে ৮৬ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা আইন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।
তিনি ১৯৭৮-৭৯ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা বার এর নির্বাচিত সম্পাদক ছিলেন।
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী ১৯৮০ থেকে ৮১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর ভলান্টারি স্টেরিলাইজেশন (বিএভিএস), গাইবান্ধার চেয়ারপার্সন ছিলেন।
তিনি তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় অনেক স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে আ.লীগের প্রেতাত্মারা এখনো বহাল’
বিশেষ আদালতের এজলাস কক্ষ ভোর বেলায় আগুনে পুড়ে গেছে
সরকারের সংস্কার এজেন্ডা সমর্থন করছে ইআইবি